বাড়ির সামনে ভিড় দেখে শহীদ জওয়ানের ৬ বছরের মেয়ের প্রশ্নঃ- এত ভিড় কেন মা?

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দেশের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করা ভিপুল রায়ের (Vipul Roy) ছয় বছরের কন্যা তামান্নার নিষ্পাপ প্রশ্ন শোনার পরে পুরো দেশবাসী কেঁদে উঠল। কন্যা তামান্না বারবার তার মাকে প্রশ্ন করছিল যে, মা বাড়ির সামনে এত ভিড়  কেন? মা কাঁদতে কাঁদতে বললেন, না কিছু না। তামান্না তাও জিজ্ঞাসা করতে থাকল মা কিছু একটা হয়েছে।

ভিপুলের স্ত্রী রুম্পা রায় জানান যে, ‘মঙ্গলবার সকালে লাদাখ উপত্যকা থেকে বারবার খারাপ খবর আসতে শুরু করে। টিভি খুললেই খারাপ খবর। মন কিছুতেই মানছিল না। তাই বারবার ভিপুলকে ফোন করি কিন্তু কিছুতেই তার ফোনে লাগচ্ছিল না। সারাদিন ধরে আমি অপেক্ষা করছি কখন ওর ফোন আসবে ওর সাথে একটু বলব কিন্তু তা আর হল না। রাত ১১.৩০ টার সময় আমি যখন ঘুমাচ্ছিলাম তখন একটি ফোন আসে আমার কাছে। ফোনটি লাদাখের কমান্ডিং অফিসারের ছিল। তারপরে সব শেষ হয়ে গেল।’

উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাহসী সৈন্যদের শেষ বিদায় দেওয়া হচ্ছে। ত্রিঙ্গোলায় জড়ান তেলঙ্গানার সূর্য্যপেটের কর্নেল সন্তোষ বাবুকে দেখে পরিবারের অশ্রু থামছিল না। হাওয়ালদার সুনীল কুমারের শেষ পাটনা সফর মানুষের প্রচুর ভিড়কে আকৃষ্ট করেছিল। যাঁরা শেষ যাত্রায় অংশ নিতে পারেননি, তাঁরা তাঁদের বাড়ির ছাদ থেকে শেষটি দেখেন এবং ফুল দিয়েছিলেন।

জওয়ান আমান কুমার বিহারের সমতীপুরের সুলতানপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। এক বছর আগে বিয়ে হয়েছিল আমনের। ছেলের চলে যাওয়ার খবর শুনে বাবা সুধীর কুমার সিং কান্না থামাতে পারেননি। তিনি বলেন, পুত্র দেশের জন্য ত্যাগ স্বীকার করে বুক চওড়া করলেন। প্রয়োজনে আমরা আরেক ছেলেকেও সেনাবাহিনীতে প্রেরণ করব।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বুধবার পরিষ্কার জানিয়ে ছিলেন যে, চীনা সীমান্তে সেনাবাহিনী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। দেশটির গর্বের উপরে গ্যালভান ঘটনায় মারা যাওয়া ভারতীয় সেনা সেনার মধ্যে পাঁচজন বিহারের। পাটনা জেলার বিহারের বাসিন্দা সুনীল কুমারকে বুধবার সন্ধ্যায় ত্রিঙ্গায় জড়িয়ে মোড়ে বিশেষ বিমান দিয়ে পাটনা বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়েছিল।

ko

একজন শীর্ষ ভারতীয় আধিকারিক স্পষ্টভাবে বলেন যে, এখন সীমান্ত পরিচালনার জন্য ভারতের শান্তিরক্ষা নীতি বদলেছে এবং চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির পক্ষে রওনা করার বিকল্প শেষ হয়েছে। বুধবারও ভুলটি চীনা পক্ষ গ্রহণ করেনি। তিনি বলেছেন যে ভারতীয় সৈন্যরা তাঁর দিকে এগিয়ে গিয়েছিল, যখন ভারতীয় সেনাবাহিনী তাকে এগিয়ে আসতে বাধা দিচ্ছিল। লাদাখের গালভান উপত্যকায় ভারত-চীন আলোচনা নিষ্কলুষ ছিল। সোমবার সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হয়েছেন।

সম্পর্কিত খবর