বাংলাহান্ট ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই ইন্ডাস্ট্রিতে তারকা সন্তান ও বহিরাগতদের নিয়ে ঝামেলা লেগেই রয়েছে। এই ঝামেলার কারনে কার্যত দু ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে নেটিজেনরা। করন জোহর ও তাঁর নেপোটিজম নিয়ে তুমুল ট্রোল, সমালোচনা শুরু হয়েছে নেটদুনিয়ায়।
এবার স্রোতের বিপরীতে গিয়ে করন জোহরের (karan johar) সমর্থনে কথা বলতে দেখা গেল স্বরা ভাস্করকে (swara bhaskar)। করনকে একঘরে করে দেওয়া উচিত নয়, এমনটাই মন্তব্য করেন অভিনেত্রী। অপরদিকে স্বরার এই বক্তব্যকে ‘তাঁবেদারি’ বলে কটাক্ষ করেছেন কঙ্গনা রানাওয়াত (kangana ranawat)।
নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে করনকে সমর্থন করে স্বরা লেখেন, ব্যক্তিগত আক্রমণ হিসাবে না নিয়েই সবসময় প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন করন জোহর। এমনকি নিজের চ্যাট শো থেকে ‘নেপোটিজম’ শব্দটিও তিনি ইচ্ছা করলেই সরিয়ে নিতে পারতেন। তাও করেননি তিনি। এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, ‘করনকে যেভাবে সবাই দোষারোপ করছে তা ঠিক নয়। আমার মনে হয় না করন, আলিয়া বা সোনম এমন কিছু করেছেন যার জন্য সুশান্তের কেরিয়ারে প্রভাব পড়েছে। এই দোষারোপটা ভুল।’
Let’s take a moment & acknowledge that @karanjohar took this question on the chin, & answered in a candid & honest manner not taking unwarranted personal offense. Let’s also acknowledge that he didn’t have the infamous #nepotism comment removed from his chat show which he cud’ve. https://t.co/XhEW5mBL7f
— Swara Bhasker (@ReallySwara) June 27, 2020
স্বরার এই বক্তব্যের পরেই তোপ দাগে কঙ্গনার টিম। টুইট করে তারা লেখে, ‘স্বরা তাঁবেদারি করার সময় এটা ভুলে যাবেন না যে বহু অনুরোধের পর কঙ্গনা করনের শোতে উপস্থিত হয়েছিলেন। উনি সুপারস্টার এবং করনকে শোটির উপস্থাপনার জন্য টাকা দেওয়া হয়। চ্যানেল না চাইলে করন কিছুই সরাতে পারবেন না। আর কঙ্গনার কিছু বলার জন্য করনের দরকারও নেই।’
https://twitter.com/KanganaTeam/status/1277665545731506177?s=19
সম্প্রতি ফের সুশান্তের হয়ে সরব হতে দেখা যায় কঙ্গনাকে। ২০১৮ সালে #MeToo র মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছিল সুশান্তকে। তাঁর মৃত্যুর পর সেই বিষয়টাকেই টেনে এনে সরব হন অভিনেত্রী। একটি টুইটে দু বছর আগের ওই ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে লেখা হয়, সুশান্ত সেই সময় জনসমক্ষে বলেছিলেন এই মিথ্যে #MeTooর অভিযোগ তাঁকে অবসাদগ্রস্ত করছে। এখন সাংবাদিকদের উচিত এই ঘটনার নেপথ্যে কার হাত ছিল তা খুঁজে বের করা।
এই টুইটের উত্তরে কঙ্গনা লেখেন, ‘কাউকে আলাদা করে দেওয়া খুব সহজ। তাদের মন নিয়ে খেলা, অবসাদগ্রস্ত করে তোলা আর তারপর আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেওয়া। অনেক নিরীহ প্রাণই এই ফাঁদে পড়েছে’।