বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সমাজের চতুর্থ স্তম্ভ হল সংবাদমাধ্যম আর সেই সংবাদমাধ্যমের উপর একাধিক বার আঘাত নেমে এসেছে কখনও ক্ষমতায় যে দল সেই দল বিরুদ্ধে সঠিক দুর্নীতি তুলে ধরলে কখনো জেল যেতে হচ্ছে, আবার কখনো মিথ্যা অভিযোগে মামলা করা হচ্ছে। বাংলার এক অংশের গন মাধ্যমের এমনটাই অভিযোগ৷
কিছুদিন আগে বাংলার অতি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমের একাধিক জায়গায় প্রদর্শন বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে প্রশাসনের বিরুদ্ধে কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে তখন জানিয়ে দেওয়া হয় তারা বিভিন্ন কেবল নেটওয়ার্ক এ তারা সঠিক সময় পয়সা না দেওয়ার জন্য তাদের লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয় কিন্তু তা মানতে নারাজ সমাজের একাংশ।
বেশ কিছুদিন আগে ভারত বাংলা বলে একটি চ্যানেলের চিত্র সাংবাদিককে মারা হয় এবং সমন্বয় বন্দ্যোপাধ্যায় নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল প্রখ্যাত সাংবাদিক তাকেও মিথ্যা অভিযোগে তুলে আনা হয় থানায় এবং অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ করেছে সমন্বয় বন্দ্যোপাধ্যায় এবং গতকাল আরামবাগ টিভি এডিটর সাইফুল ইসলামের বাড়িতে চড়াও হয় পুলিশ ও স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতী তাকে দরজা ভেঙে তাকে তুলে নিয়ে আসা হয় এবং থানায় থাকে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখা হয় আরো জানিয়েছে তারা একাধিক সত্যি ঘটনা প্রকাশ করার জন্যই তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কেন কার নির্দেশে আনন্দবাজার প্রতিকার সম্পাদক কে সরিয়ে দেওয়া হলো?
সব কটা ঘটনা নিয়ে আজ কলকাতা প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিকী আন্দোলন করেন বিজেপি যুব মোর্চা। কলকাতা প্রেস ক্লাবের সামনে যেতেই বিজেপি নেতা ও কর্মীদের গেপ্তার করা হয়। এই বিষয়ে বিজেপির সংসদ তথা যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ বলেন সমাজের চতুর্থ স্তম্ভ হলো গনমাধ্যম, আর সেই গন মাধ্যেমের উপর তৃণমূল ও পুলিশ মিলিত ভাবে আক্রমন করছে।
সব কটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে বাংলাহান্ট। আমরা প্রশাসনের কাছে বলতে চাই বিনা কারণে এই অত্যাচার না করে আইনের পথে আসুন। আইন সকলের কাছে সমান৷ যদি কোন পত্রিকা ভুল খবর করে তা হলে উপযুক্ত শাস্তি পাবে। কিন্তু গনতন্ত্রের উপর আঘাত হলে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। আমরা চাই প্রশাসন সঠিক ভাবে কাজ করুক শিরদাঁড়া শক্ত করে৷