বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দিনে দুপুরে মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) ঘটে গেল এক সাঙ্ঘাতিক দুঃসাহসিক ঘটনা। যা দেখে তাজ্জব বনে গেল গোটা ব্যাংক মধ্যস্থ মানুষজন। মাত্র ১০ বছররে ওই একরত্তি ছেলের যে এত সাহস, তা ঘুণাক্ষরেও আঁচ করতে পারেননি কেউ। নিমেষের মধ্যেই লোকজনের ভিড়ের মধ্যে দিয়ে নিজের কাজ হাসিল করে বেরিয়ে গেল।
রোজকারের মত কাজ হচ্ছিল ব্যাংকে
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা। অন্যান্য দিনের মতই লোকজনের ভিড় ছিল মধ্যপ্রদেশের নিমুচ জেলায় একটি ব্যাংকে। ক্যাশকাউন্টারের সামনে গ্রাহকও ছিলেন বেশ কয়েকজন। তবে এরই মধ্যে সেখানে বছর ১০-এর একটি ছোট খাটো চেহারার বাচ্চা ঢুকে পড়ে। চেহারায় ছোট হওয়ায় লোকজনের ভিড়ে হারিয়ে যায়। আর তাঁর দিকে সেভাবে কেউ লক্ষ্যও করেনি। সবাই নিজের কাজে ব্যস্ত।
মাত্র ৩০ সেকেণ্ডেই কাজ সারা
ক্যাশকাউন্টারে থাকা স্টাফ সামান্য বিরতি নিয়ে তাঁর সিট ছেড়ে পাশের টেবিলে সবে মাত্র গিয়েছেন, সেই সুযোগেই বাচ্চাটি ফটাফট ক্যাশবাক্স থেকে বেশ কয়েকটি ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল নিয়ে হাওয়া। মাত্র ৩০ সেকেন্ড, আর প্রায় ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দেয় বাচ্চাটি। সকলের নাকের ডগা দিয়ে এক ছুটে বেরিয়ে যায় ব্যাংক থেকে। ঘটনায় তাজ্জব বনে যায় সকলেই।
পুলিশের অনুমান
প্রথম দিকে কেউ কিছু বুঝেই উঠতে পারেননি। বাচ্চাটিকে অস্বাভাবিক ভাবে দৌড়ে বেরিয়ে যেতে দেখে ব্যাংকের নিরাপত্তারক্ষীদের সন্দেহ হয়। কিন্তু ততক্ষণে তাঁর কাজ সারা হয়ে গেছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ জানিয়েছে, বাচ্চাটি এতোটাই ছোট ছিল যে, তাঁর চেহারা ঠিকভাবে ক্যামেরায় ধরা পড়েনি। তবে বেশকিছুক্ষণ ধরে একটি ২০ বছর বয়সী যুবককে ব্যাংকে বসে থাকতে দেখা গেছিল। বাচ্চাটি বেরিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে ওই যুবকও সেখান থেকে হুড়মুড়িয়ে বেরিয়ে যায়।
পুলিশের অনুমান ওই যুবকের নির্দেশেই বাচ্চাটি এই কাজ করেছে। পুলিশ সুপার মনোজ রায় জানিয়েছেন, নিমুচ জেলায় বেশ কিছুদিন ধরে ছোট বাচ্চাদের দিয়ে বিভিন্ন রকম অপরাধমূলক কাজ করানো হচ্ছে। তাঁরা সন্দেহ করছে। এর পিছনে নিশ্চয়ই বড় কোন গ্যাং রয়েছে।