বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম সঞ্জয় দত্ত (sanjay dutt)। দীর্ঘদিন ধরে বড়পর্দায় অসংখ্য অনুরাগীর মন জিতে এসেছেন তিনি। একের পর এক হিট ছবি ও বিখ্যাত চরিত্র তিনি উপহার দিয়েছেন সিনেপ্রেমীদের। তবে সঞ্জয়ের ব্যক্তিগত জীবনটাও কোনও সিনেমার থেকে কম কিছু না। আজ অভিনেতার জন্মদিনে জেনে নিন তাঁর জীবনের কিছু অজানা তথ্য।
নিজের জীবনে বহু কঠিন সময় দেখেছেন সঞ্জয় দত্ত। তাঁর জীবনের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে ছবিও । ২০১৮তে রণবীর কাপুর অভিনীত ‘সঞ্জু’ মুক্তি পায়। এই ছবিতে সঞ্জয় দত্তের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন রণবীর। এই ছবিতে অভিনেতার জীবনের বেশ কিছু অজানা বিষয় প্রকাশ্যে এসেছিল। মাদক দ্রব্যের নেশা তার মধ্যে অন্যতম।
পুরোপুরি নেশার কবলে চলে গিয়েছিলেন সঞ্জয়। ১৯৮১ সালে ‘রকি’ ছবির হাত ধরে বলিউডে পা রাখেন তিনি। প্রথম ছবিতেই নিজের অভিনয় দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন সঞ্জয়। এরপর বেশ কিছু ছবির প্রস্তাব আসতে থাকে তাঁর কাছে। কিন্তু ড্রাগসের নেশার কারনে বহু ভাল ছবি হাতছাড়া হয়ে যায় তাঁর। এমনকি জ্যাকি শ্রফ অভিনীত ‘হিরো’ ছবিতে প্রথমে সঞ্জয়েরই অভিনয় করার কথা ছিল। কিন্তু নেশার কারনে তা আর হয়ে ওঠেনি।
নিজের এই মারাত্মক নেশা নিয়ে বহুবার সংবাদ মাধ্যমের সামনেও মুখ খুলেছেন অভিনেতা। একবার একটি কলেজের অনুষ্ঠানে এসে ড্রাগসের নেশা নিয়ে বলার সময় সঞ্জয় দত্ত জানান, তাঁর মা মারা যাওয়ার পর এক দিন তিনি পরিচারককে বলেন তাঁকে খাবার দেওয়ার কথা। তখন সেই পরিচারক জানান, দুদিন ধরে কিছু না খেয়ে শুধুই ঘুমিয়েছেন সঞ্জয়। তাঁর নাক মুখ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছিল।
নিজের অবস্থা দেখে ভয় পেয়ে এরপর অভিনেতা বাবা সুনীল দত্তের কাছে সাহায্য চান। তিনি সঞ্জয়কে আমেরিকায় একটি নেশামুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি করে দেন। কিন্তু সেখানেও প্রথম বছর ফের নেশা করার ইচ্ছা হয়েছিল অভিনেতার। তবে তিনি মনের জোরে আর তা করেননি। ছেলের এমন অবস্থা দেখে সুনীল দত্তও চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি পাশে থেকে ড্রাগসের কবল থেকে ফিরিয়ে আনেন সঞ্জয়কে।