বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘পোল্ট্রি ফার্মের (Poultry farm) মালিকেরাও কৃষক। আমরা ডিম উৎপাদন করি। কিন্তু আমাদের কোনও সুবিধা দেওয়া হয়না। আমাদের ডিমের MSP নির্ধারিত না। আমরা আমাদের ফার্মের জন্য যেই বিদ্যুৎ নিই, সেটা আমাদের কমার্শিয়াল রেটে দেওয়া হয়। তাও আমরা কৃষক আন্দোলনে কৃষকদের সাথে আছি। আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবেও এই কৃষি বিলের বিরোধিতা করছি।” এটা বলেন পোল্ট্রি ফার্ম হাউসের মালিক তথা উত্তর প্রদেশ পোল্ট্রি সমিতির সভাপতি নবাব আলী।
নবাব আলী বলেন, ‘কৃষক আন্দোলনের কারণে পোল্ট্রি ফার্ম গুলোকেও সাবধানে মাল এদিক ওদিক পাঠাতে হচ্ছে। গ্রাহক আগের থেকে অনেক কমে গিয়েছে। গ্রাহকেরাও জানে যে, ফার্মওয়ালা নিজেরাও কৃষক আর কৃষি আন্দোলনে এরা কৃষকদের সমর্থন করছে। আর সেই কারণে আগের মতো আর মালের সাপ্লাই নেই। এই কারণে আন্দোলনে আগে উত্তর প্রদেশে মুরগী ৮০ টাকা কিলো ছিল, আর এখন ৪০ টাকা কিলো হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাও এর পরোয়া করিনা। আমরা আমাদের আগামী প্রজন্মের কথা ভাবি। কৃষকদের ভবিষ্যতের কথা ভাবি। সস্তার কথা বাদ দিন, যদি আমাদের মুরগী আর ডিম বাড়িতেই রেখে দিতে হয়, তাও আমরা এই আন্দোলন থেকে পিছু হটব না।
কৃষক আন্দোলনের জেরে ডিমের দামও কমে গেছে। এক ডিম ব্যবসায়ী জানান, আন্দোলনের প্রথম ছয় থেকে সাতদিন সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। ২রা ডিসেম্বর পাইকারি ১০০ টি ডিমের দাম ৪৬৩ টাকা ছিল। কিন্তু দুই তারিখের পর ডিমের দাম কমতে থাকে। ৭ ডিসেম্বর ডিমের দাম কমে প্রতি ১০০ ডিম ৪২০ টাকায় বিক্রি হয়।