WhatsApp নিজের নতুন প্রাইভেসি পলিসির জেরে বেশ বিপদে পড়েছে। অনেকেই এই মুহুর্তে WhatsApp ছেড়ে Telegram, Signal এর মতো অ্যাপগুলির দিকে ঝুঁকছে। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে বেশ কয়েকটি প্রথম সারির সংবাদপত্রের প্রথম পাতা জুড়ে বিজ্ঞাপন দিল হোয়াটসঅ্যাপ।
হোয়াটসঅ্যাপের বিকল্প হিসাবে এই মুহুর্তে খুবই দ্রুত সামলের সারিতে উঠে আসছে সিগনালের মতো অ্যাপ। রয়টার্সের প্রতিবেদনে সেন্সর টাওয়ারের তথ্য উদ্ধৃত করে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে সিগন্যাল অ্যাপটি গত দু’দিনে অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস ডিভাইসে প্রায় এক লক্ষেরও বেশি লোক ডাউনলোড করেছে। এছাড়াও, ২০২১ সালের প্রথম সপ্তাহে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ইনস্টলেশন ১১ শতাংশ কমেছে।
এই জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ার কারনে, হোয়াটসঅ্যাপ সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় বিজ্ঞাপন দিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানিয়েছে । এতে হোয়াটসঅ্যাপ দাবি করেছে যে মানুষের গোপনীয়তার প্রতি শ্রদ্ধা তার ডিএনএতে রয়েছে। এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন সরবরাহের ক্ষেত্রে নিজেকে লিডার হিসাবে বর্ণনা করে হোয়াটসঅ্যাপ বলেছে যে এটি মানুষের মধ্যে ব্যক্তিগত যোগাযোগকে সমর্থন করে। হোয়াটসঅ্যাপ আশ্বাস দিয়েছে যে তারা ব্যবহারকারীর ফোন কল শুনতে, বার্তা পড়তে বা ফটো, ভিডিও বা নথি দেখতে পারে না। ফেসবুকও এটি করে না।
যদিও হোয়াটসঅ্যাপের নতুন প্রাইভেসি পলিসিতে ঠিক উল্টোই দেখা যাচ্ছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে এই অ্যাপ আর্থিক লেনদেন, লোকেশন সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ফেসবুকের সাথে শেয়ার করবে। যা শেয়ার হলে বহু ব্যাবহারকারী বিপদে পড়তে পারেন। এর আগেও ফেসবুক থেকে একাধিক বার তথ্যচুরি হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপেও তার পুনরাবৃত্তির আশঙ্ককায় অনেকেই ছেড়েছে হোয়াটসঅ্যাপ।