বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলা সিরিয়াল (serial) জগতে এখন অন্যতম জনপ্রিয় মুখ ‘কৃষ্ণকলি’ (krishnakali) তিয়াশা রায় (tiyasha roy)। জি বাংলার কৃষ্ণকলি সিরিয়ালে শ্যামার চরিত্রে অভিষেক করেই দর্শকদের মনে গেঁথে বসেছেন তিনি। মিষ্টি লুকস, সঙ্গে অনবদ্য অভিনয় প্রতিভা রাতারাতি সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে দিয়েছে তিয়াশাকে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে সিরিয়ালের টিআরপিও।
সোশ্যাল মিডিয়াতেও একই রকম জনপ্রিয় তিয়াশা। অনুরাগীদের মন ভালই বোঝেন তিনি। আর তাই তো শুটিং সেটের ছবি থেকে ব্যক্তিগত জীবনের খুঁটিনাটি সবই শেয়ার করেন ভক্তদের সঙ্গে। পাশাপাশি নিজের ছবি পোস্ট তো আছেই। সিরিয়ালে সবসময় শাড়িতে সাদামাটা রূপে দেখা গেলেও বাস্তব জীবনে কিন্তু বেশ ফ্যাশনিস্তা তিয়াশা।
সম্প্রতি পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে কয়েকটি নতুন ফটোশুট করেছেন তিয়াশা। লাল বেনারসী, ভারী গয়না, খোঁপায় ফুল গুঁজে এক্কেবারে নববধূ রূপে ধরা দিয়েছেন অভিনেত্রী। এখন আর শ্যামার মতো শ্যামবর্ণা নন, বরং নিজের আসল রূপ নিয়েই ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন তিয়াশা।
https://www.instagram.com/p/CNm-RiUhpYf/?igshid=dculp4tuvu11
পোস্টের ক্যাপশনে ‘এই মন জোছনায়’ গানের কয়েকটি লাইন ব্যবহার করেছেন অভিনেত্রী। নীল শাড়ি গোলাপি ব্লাউজ পরেও কয়েকটি ফটোশুট করেছেন তিয়াশা। খোলা চুলে তাঁর রূপ যেন আরো বেড়েছে। অনুরাগীদের নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। প্রতিটি ছবিই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
https://www.instagram.com/p/CNrMYx-hH3Y/?igshid=1f8rdx98una4k
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কৃষ্ণকলির নায়িকা ও খলনায়িকাকে একসঙ্গে দেখা গেল তৃণমূলের হয়ে ভোট প্রচারে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় দেখা গেল কৃষ্ণকলির শ্যামা ও রাধারাণীকে।
https://www.instagram.com/p/CNiG4pRh7VY/?igshid=bi05sbqjw6mt
কিন্তু তাই বলে সিরিয়ালের নায়ক নীল ভট্টাচ্চার্য্য ওরফে নিখিলের মতো সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেননি তিয়াশা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি ভালবাসা থেকেই প্রচারে অংশ নেন তাঁরা। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সেলফি তুলতে দেখা যায় তিয়াশা ও শ্রীময়ীকে। ছবির ক্যাপশনে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানও দেন শ্রীময়ী।
এর আগে তৃণমূল প্রার্থী তথা অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিকের হয়ে প্রচার করতে দেখা যায় শ্রীময়ী ও তিয়াশাকে। তাঁদের সঙ্গী হয়েছিলেন কে আপন কে পর খ্যাত জবা ও পরমও। উত্তরপাড়া থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন কাঞ্চন। হুডখোলা জিপে করে প্রচারের পাশাপাশি পেটপুরে খানাপিনাও করেন চারজন।