বাংলাহান্ট ডেস্ক: স্টার জলসার (star jalsha) অন্যতম জনপ্রিয় বাংলা সিরিয়াল (serial) ‘খড়কুটো’ (khorkuto)। সিরিয়ালের টিআরপি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চরিত্রগুলির জনপ্রিয়তা। দর্শকদের মুখে মুখে ঘুরছে এখন ‘সৌগুন’ এর নাম। খড়কুটোর নায়ক নায়িকা সৌজন্য (soujonno) ও গুনগুনের (gungun) জুটিকে ভালবেসে এই নামই দিয়েছেন অনুরাগীরা।
সৌজন্যকে বিয়ে করে এক বছরের জন্য এই বাড়িতে থাকবে গুনগুন। তারপর গ্র্যাজুয়েশন পরীক্ষায় পাশ করে গেলেই ফের বাবার কাছে ফিরে যাবে। এই শর্তেই সৌজন্যর সঙ্গে থাকতে রাজি হয় গুনগুন। প্রথমে দুজনের মধ্যে একেবারেই মিলমিশ না হলেও ধীরে ধীরে একে অপরের কাছে আসতে শুরু করেছে সৌজন্য গুনগুন।
ছটফটে গুনগুনের মজার মজার কাণ্ডকারখানাও এখন ভাল লাগছে সৌজন্যর। অপরদিকে সৌজন্যর উপর একটু একটু করে অধিকারবোধ জন্মাচ্ছে গুনগুনেরও। সব মিলিয়ে সৌগুন জুটি এখন তুমুল জনপ্রিয়। তবে টিআরটি প্রথম দিকে তুঙ্গে থাকলেও সম্প্রতি বেশ কিছুটা কমে গিয়েছে।
আর এর জন্য গুনগুনের চরিত্রটিকেই অনেকাংশে দায়ী করেছেন দর্শকদের একাংশ। তাদের মতে সিরিয়ালটি এবার একঘেয়ে হতে শুরু করেছে। গুনগুনের প্রতিদিনকার কাণ্ডকারখানা প্রথম প্রথম বেশ মজার লাগলেও এখন কিছুটা বিরক্তিকর লাগতে শুরু করেছে।
সম্প্রতি নববর্ষে অনুরাগীদের জন্য এক বড়সড় সারপ্রাইজ দিয়েছেন খড়কুটো নির্মাতারা। পয়লা বৈশাখেই এক মিষ্টি সুখবর নিয়ে এসেছে খড়কুটো পরিবার। আরো স্পষ্ট ভাবে বলতে গেলে ঋজু ও মিষ্টি অর্থাৎ সৌজন্য গুনগুনের দাদাভাই ও বৌদিভাই। মা হতে চলেছেন মিষ্টি। নববর্ষের প্রথম দিনেই মিলেছে এই সুখবর।
স্বাভাবিক ভাবেই মুখোপাধ্যায় পরিবারে বইছে খুশির ঢেউ। বড় মা, ছোট মা, পুটু পিসি সবাইকে জানায় এই খুশির খবর। কিন্তু মিষ্টির এত শরীর খারাপ সত্বেও বাড়ির কারোর তা নিয়ে মাথাব্যথাও নেই। সবাই আনন্দে আত্মহারা। এদিকে বছরের প্রথম দিনেই বমি করে চলেছে মিষ্টি। গুনগুন বুঝে উঠতে পারছে না ব্যাপারটা কি হচ্ছে।
শেষমেষ সৌজন্যর উপরই ভার পড়ে গুনগুনকে বোঝানোর যে মিষ্টি মা হতে চলেছে। বেশ মিষ্টি করেই স্ত্রীকে সৌজন্য বোঝায় ব্যাপারটা। এমন খবর শুনে আনন্দে আত্মহারা গুনগুনও। কিন্তু গুনগুনের এই আচরণই বিরক্তিতে ফেলেছে দর্শকদের।
গুনগুনের বাবা এত বড় একজন চিকিৎসক। সে নিজেও পড়েছে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে। তা সত্ত্বেও সিরিয়ালে দেখানো হচ্ছে বিয়ে ব্যাপারটাই বোঝে না গুনগুন। এমনকি মাতৃত্বের বিষয়েও কোনো ধারনা নেই তার। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ এমনটা কিভাবে হতে পারে সেই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে দর্শকরা।
সিরিয়ালের লেখক কি দর্শকদের বাচ্চা মনে করেছেন? এমনি প্রশ্ন তাদের। গুনগুনের এই ন্যাকা হাবভাবের জন্যই টিআরপি ক্রমশ কমের দিকে বলে মত সিরিয়ালের দর্শকদের।