বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ১০ বছর আগে অসমে যখন তরুণ গগৈ-এর নেতৃত্বে কংগ্রেসের সরকার চলছিল, তখন বেসুরো হন অসমের তৎকালীন স্বাস্থ্য মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সেই সময় অসমে হিমন্তর শক্তি দারুণ ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। এমনকি তরুণ গগৈকে সরিয়ে হিমন্ত হয়ে উঠেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর দাবিবার। অসম কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়কও ছিল ওনার সঙ্গে। এরপর তিনি সেই বিধায়কদের নিয়ে সরাসরি দিল্লী গিয়ে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দেখা দেননি রাহুল। এরপর হিমন্ত গুলাম নবি আজাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁর শক্তি প্রদর্শন করেছিলেন।
সেই সময় রাহুল গান্ধী স্পষ্ট জানিয়েছিলেন যে, এভাবে বিক্ষুব্ধ রাজনীতি করতে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করবে না দল। এরপর অভিমানে কংগ্রেস ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে শুধু অসমেই না, গোটা উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে বিজেপির সংগঠন মজবুত করেন তিনি। গতবারের বিজেপি সরকারে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদ পেয়েছিলেন তিনি। অসমে নির্বাচনে চিরাচরিত ভাবে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর মুখ ছাড়াই লড়েছে। আর এরই মধ্যে হিমন্তর জনপ্রিয়তা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, সে আবারও অসমের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দাবিবার হয়ে উঠেছে।
অসম সহ উত্তর-পূর্বের অমিত শাহ বলে ডাকা হয় হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে। ৮ বছর আগে হিমন্ত বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর উত্তর-পূর্ব রাজ্যে অস্বাভাবিক ভাবে গেরুয়া শিবিরের শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। একের পর এক রাজ্য দখল করেছে বিজেপি। দলীয় সুত্রের খবর অনুযায়ী, গতকাল অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা এবং বিজেপির প্রথম সারির নেতাদের নিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, সেটার বৈঠক চলছিল। আর সেই বৈঠকে হিমন্তর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা ১৬ আনার মধ্যে ১২ আনা হয়েছে।
তবে হিমন্তবাবু মুখ্যমন্ত্রী হলে অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে না। ওনাকে ক্যাবিনেটে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হবে বলে সূত্রের খবর। আগামী দু’দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত হবে অসমের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হচ্ছেন।