বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নারদ মামলায় শোভন চট্টোপাধ্যায় (sovan chatterjee), মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিমদের প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যেতেই তাঁদের নানারকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে থাকে। সোমবার রাতেই এসএসকেএমে ভর্তি করা হয় শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং মদন মিত্রকে। সুব্রত মুখোপাধ্যায় সেখানে গেলেও শারীরিক পরীক্ষা না করিয়েই ফিরে আসেন। তবে পরবর্তীতে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে জ্বর আসায়, ফিরহাদ হাকিমের ইচ্ছাতেই তাঁকে জেলের হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
এসএসকেমে ভর্তিরত শোভন চট্টোপাধ্যায়সহ বাকিদের একাধিক পরীক্ষা নিরিক্ষা করা হয়। তবে বুধবার রাতে শোভনের কেবিন থেকে বেরিয়ে বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (baisakhi banerjee) জানান, করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও, অক্সিজেনের মাত্রা ওঠানামা করছে শোভনের। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে তাঁর মানসিক চাপ বেড়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
নারদ মামলায় ধৃত শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিমদের সোমবার জামিনের আবেদন স্থাগিত হয়ে যাওয়ার পরবর্তীতেই তাঁদের প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। আর সেখানে গিয়েই শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় তাঁদের।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, কিছু দিন আগেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন বছর ৬৬-র মদন মিত্র। জেলে গিয়ে তাঁরা শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাঁকে তৎক্ষণাৎ এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়। উডবার্ন ব্লক থেকে বুধবার দুপুরে তাঁকে সিটি স্ক্যান করার জন্য ট্রমা কেয়ার সেন্টারে নিয়ে যাওয়ারও খবর পাওয়া গিয়েছে। তাঁর সুগার ওঠানামা করছে এবং শারীরিক দুর্বলতাও রয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে জেলের মধ্যেই জ্বর আসে ফিরহাদ হাকিমের। রাতের দিকে জ্বর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পেটে ব্যাথাও অনুভূত হয় তাঁর। তবে তাঁকে এসএসকেএমে নিয়ে যেতে চাইলেও, তিনি জেলের হাসপাতালেই থাকতে চান।
অন্যদিকে মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মত সুব্রত মুখোপাধ্যায়েরও সিওপিডি সমস্যা রয়েছে। বুধবার চিকিৎসকদের দল তাঁদের পরীক্ষা করেন।