বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আমফানের ঘা সেরে ওঠার আগেই বাংলায় আছড়ে পড়ার জন্য তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াশ cyclone yaas)। আবহাওয়া দফতর (weather office) জানাচ্ছে, পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগরে যে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে, তা আগামীকাল অর্থাৎ ২৪ শে মে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ ধারণ করবে।
সোমবার ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে শক্তি বাড়াতে থাকবে ইয়াশ। এরপর ২৫ শে মে থেকেই দক্ষিণবঙ্গে প্রভাব পড়তে শুরু করবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াশের। বাংলার বিস্তীর্ণ এলাকায় শুরু হবে বৃষ্টি, সঙ্গে বইবে ৭০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াও। তারপর ২৬ শে মে আছড়ে পড়বে বাংলার বিভিন্ন এলাকায়। ২৭ তারিখ বাড়বে এই বৃষ্টির পরিমাণ। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান বাদ দিয়ে বাংলার দক্ষিণের প্রায় জেলাতেই এর প্রভাব পড়বে।
যদিও, হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আমফানের থেকে তুলনামূলক কম শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড় ইয়াশ। তা সত্ত্বেও বিপর্যয় মোকাবিলার ক্ষেত্রে কোনরকম খামতি রাখছে না রাজ্য সরকার। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিভিন্ন বিপর্যয় মোকাবিলার বিভাগ। জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যের পর থেকেই ওড়িশা এবং বাংলা উপকূলের দিকে এগিয়ে আসবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াশ। যার প্রভাবে বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গী হবে ঘন্টায় ৪০-৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া। আর মঙ্গলবার ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিমি ঝোড়ো হাওয়া বইবে।
ইতিমধ্যেই সরকার আগে থাকতেই বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য নানারকম পদক্ষেপ নিতে শুরু করে দিয়েছে। অন্যদিকে সমুদ্রের মৎস্যজীবীদের ২৩ শে মে’র মধ্যেই ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং সেইসঙ্গে ২৪ শে মে সমুদ্র যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। উপকূল এলাকাবাসীর জন্য মাইকিংও করা হচ্ছে।
আজকের আবহাওয়া
রবিবার কলকাতা শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। সকালের দিকে এলাকার কয়েকটি জায়গায় আংশিক রৌদ্রোজ্জ্বল এবং রাতের দিকে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।