বাংলা হান্ট ডেস্কঃ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এই মুহূর্তে তছনছ হয়ে যাচ্ছে গোটা ভারত বর্ষ। সংক্রমনের সংখ্যা রোজই বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। যদিও করা লকডাউনের জেরে গত কয়েক দিনে তা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে কিন্তু সংখ্যাটা এখনো আশঙ্কাজনক। তার উপর রীতিমত চিন্তা বাড়াচ্ছে মৃত্যুর সংখ্যা। রোজই নতুন করে করোনার বলি হচ্ছেন কয়েক হাজার মানুষ। এমনকি এই মুহূর্তে মোট সংখ্যা ছাড়িয়েছে প্রায় তিন লাখ। অনেক সংস্থার মতে অবশ্য সংখ্যাটা আরো বেশি। কারণ, এই মুহূর্তে যত মৃত্যু হচ্ছে ভারতে সব ক্ষেত্রে তা প্রশাসনের নজরে আসছে না। সব মিলিয়ে কোভিডে যে রীতিমতো জর্জরিত ভারত, তা বলাই বাহুল্য। এমতাবস্থায় এবার ভারতের পাশে দাঁড়ালো ফ্রান্স।
প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে ম্যাক্রোর ফোনালাপঃ
ভারতের এই কঠিন অবস্থায় এবার ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো। এএনআইয়ের খবর অনুযায়ী করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ফোনে কথোপকথন হয় দুই তরফে। আর এই পরেই এই ফোনালাপের বার্তা টুইট করেন ফ্রান্সের অ্যাম্বাসেডর ইমানুয়েল লেনিন। তিনি জানান, ভারতের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ফোনে কথোপকথন হয়েছে। এই কথোপকথনে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে ফ্রান্স। এই মহামারিতে সমস্ত রকম ভাবে সাহায্য করার জন্যেও তৈরি রয়েছেন তারা। এই ভাইরাসকে ধ্বংস করতে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে দু তরফে।
ভারতে যাতায়াতের উপর বিধিনিষেধ আরোপ অনেক দেশেরঃ
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির কারণে ভারতের থেকে দূরত্ব বাড়িয়েছে অনেক দেশই। রবিবার থেকে ১০ দিনের জন্য ভারতে যাতায়াতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আরব আমিরশাহী। লেভেল ফোর সর্তকতা জারি করা হয়েছে ইংল্যান্ডে। অর্থাৎ ভারত থেকে আসা কোনো ব্যক্তি টিকা গ্রহণের পরও সরাসরি ঘোরাফেরা করতে পারবেননা ইংল্যান্ডের যেকোনো জায়গায়। এমতাবস্থায় ফ্রান্সের এই পাশে দাঁড়ানো নিশ্চয়ই কিছুটা আস্থা যোগাবে ভারতকে।
ফ্রান্সের সঙ্গে কূটনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতিঃ
একদিকে যেমন করোনা পরিস্থিতিতে ভারতকে সমস্ত রকম সাহায্যের আশ্বাস দিলেও ফ্রান্স, তেমনই সূত্রের খবর অনুযায়ী ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সহযোগিতা বাড়িয়ে তোলা নিয়েও এদিন আলোচনা হয় এই দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মধ্যে। চীনের কথা মাথায় রেখে প্রশান্ত মহাসাগরে প্রতিরক্ষা আরও মজবুত করা নিয়ে এদিন আলোচনা হয় এই ফোনালাপে। পরবর্তীকালে এই বিষয়ে আরও অগ্রগতি হলে তা লাভজনক হবে ভারতের পক্ষেও।
সব মিলিয়ে দুই তরফের এই আলোচনা এখন কতটা ফলপ্রসূ হয় সে দিকেই তাকিয়ে থাকবে রাজনৈতিক মহল। তবে এই পরিস্থিতিতে এই আলোচনা যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা বলাই বাহুল্য। জানিয়ে রাখি ইতিমধ্যেই ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে, আমেরিকা, ইজরায়েল, রাশিয়া সহ অন্যান্য দেশগুলিও।