বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভাড়াটিয়া এবং মালিকের মধ্যে নানা ধরনের সমস্যা ভারতবর্ষ জুড়ে এক বড় সত্যি। কোথাও গায়ের জোরে ভাড়া দিতে চান না ভাড়াটে, কোথাও আবার ‘সিকিউরিটি মানি’ নামে যথেষ্ট চাপ সৃষ্টি করা হয় ভাড়াটিয়াদের উপর। এছাড়া মালিকানা সংক্রান্ত নানান সমস্যা তো লেগেই আছে। সেই সূত্র ধরেই এবার ভাড়াটিয়া ও মালিক দুই পক্ষের কথা মাথায় রেখে এক নতুন আইন সামনে আনল কেন্দ্র সরকার। ২০১৯ সালে প্রথমবার এই আইনের ড্রাফট জমা পড়ে। অবশেষে আজ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ক্যাবিনেট বৈঠকের পর সামনে এলো এই আইন।
এই মডেল ভাড়াটিয়া অধিনিয়মের দৌলতে এবার ভাড়াটিয়া ও মালিক পক্ষের সম্পর্ক অনেকটাই স্বচ্ছ হবে বলে আশা কেন্দ্র সরকারের। সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে এই আইন লাগু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এটিকে নতুন আইন হিসেবেও নির্দেশ করা যেতে পারে আবার পুরনো ভাড়াটিয়া আইনের সঙ্গেই সংশোধন হিসেবে ব্যবহার করতে পারে রাজ্যগুলি।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কি কি সুবিধা পাচ্ছেন ভাড়াটিয়া এবং মালিকপক্ষঃ
★ এই আইনে জানানো হয়েছে একজন ভাড়াটিয়া কখনোই সম্পত্তির অধিকার দাবি করতে পারবেন না। তবে একই সঙ্গে মালিকপক্ষ তাকে যখন তখন উঠিয়ে দিতে পারবেন না।
★কিন্তু মালিকপক্ষ যদি সময়মত নোটিশ দিয়ে থাকেন এবং তাও ভাড়াটিয়া ঘর ছাড়তে রাজি না হন তাহলে সেক্ষেত্রে প্রথম দুই মাসের জন্য দ্বিগুণ ভাড়া এবং তারপর থেকে চার গুণ ভাড়া দাবি করতে পারবেন মালিকপক্ষ।
★সিকিউরিটি মানির ক্ষেত্রে টাকা ডিপোজিট হিসেবে নেওয়া যাবে না। সে ক্ষেত্রে তিন মাসের ভাড়া অথবা কোন কোন ক্ষেত্রে ছয় মাসের ভাড়া এককালীন সিকিউরিটি মানি হিসেবে নিতে পারবেন মালিকপক্ষ। তবে বিভিন্ন জায়গার ক্ষেত্রে অর্থের পরিমাণ বিভিন্ন। জানানো হয়েছে দিল্লির ক্ষেত্রে মাসিক ভাড়ার প্রায় ছয় গুণ টাকা দিতে হবে ভাড়াটিয়াকে। তবে অন্যান্য কোন ক্ষেত্রে তা তিনগুণ বা দ্বিগুণও হতে পারে
★ ভাড়াটিয়া এবং মালিকপক্ষ সংক্রান্ত যে কোন বিবাদ সমাধানের জন্য টেনেন্সি কোর্ট আপন করতে পারবে রাজ্য। যার ফলে এ ধরণের সমস্যার আরো দ্রুত সমাধান হবে।
‘বাড়ি-ভাড়া’ ব্যবসার উন্নতিঃ
সরকারের ধারণা, এই আইনের মাধ্যমে ভাড়া দেবার ক্ষেত্রে অনেকটা স্বচ্ছতা আসার কারণে এ ধরনের ব্যবসারও অনেকটাই উন্নতি হবে। যার ফলে গৃহহীনদের ক্ষেত্রে বাড়িভাড়া পাওয়ার সুযোগ অনেকটাই বাড়বে এবং মালিকপক্ষও তার সম্পত্তি সঠিকভাবে কাজে লাগাতে সমর্থ হবেন। শুধু তাই নয়, আবাসিক ভাড়া ব্যবসাকে এই আইন এক ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবে বলেও ধারণা সরকারের।