বিজেপির (Bharatiya Janata Party) সবথেকে পুরনো সঙ্গীদের মধ্যে একটি হল শিবসেনা (Shiv Sena)। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে দুই দলের মধ্যে তিক্ততা অনেকটাই বেড়েছে। আর যার কারণে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে একাই লড়ে শিবসেনা। এরপর একই বছরে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে আবারও দুই দল এক হয়ে লড়াই করে। মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের ২৮৮টি আসনের মধ্যে বিজেপি ১০৫ আর শিবসেনা ৫৬টি আসনে জয়লাভ করে।
দুই দলের মিলিত আসন সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য যথেষ্ট ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কে হবে সেটা নিয়ে দুই দলের মধ্যে প্রকাশ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এরফলে শিবসেনা বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে কংগ্রেস আর এনসিপির সঙ্গে জোট করে সরকার গড়ে। বিগত দেড় বছরে মহারাষ্ট্রের এই জোট সরকার অনেকবার টলমল করেছে। কিন্তু কোনও ক্রমে জোট ধরে রাখতে পেরে সরকার চালিয়ে যাচ্ছে তাঁরা। কিন্তু এরই মধ্যে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) একটি বৈঠক ঘিরে জল্পনা বেড়েছে।
দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে আবারও ঝড় উঠেছে। আর এরই মধ্যে শিবসেনার মুখপাত্রর একটি বয়ান সেই জল্পনার আগুনে ঘি ঢালার কাজ করেছে। উল্লেখ্য, শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বলেন যে,’নরেন্দ্র মোদী হলেন দেশের ও তাঁর দলেরও সর্বোচ্চ নেতা।” নরেন্দ্র মোদী আর উদ্ধব ঠাকরের বৈঠকের পর ওনার এই মন্তব্য বেশ ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আরেকদিকে, মহারাষ্ট্রের সরকার নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিশেষ করে ঠাকরে আর মোদীর বৈঠকের পর অনিশ্চয়তা আরও বেড়েছে। তাহলে কি মহারাষ্ট্রের আবারও জোট বাঁধতে চলেছে প্রাক্তন দুই শরিক? আগামী লোকসভার নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই কি দুই দল তৎপর হয়েছে? সেটা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভার নির্বাচনে শিবসেনা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করে রাজ্য থেকে বিজেপিকে হটানোর ডাক দিয়েছিল। ফলাফল ঘোষণার একমাসের মধ্যেই আবার সেই শিবসেনাই কি পাল্টি মারছে?