বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মনের জোর আর অদম্য ইচ্ছাশক্তি থাকলেই, মানুষ যে সমস্ত বাধা অতিক্রম করে নিজের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে পারে, তা আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন বছর আঠাশের বলবঙ্ক তিওয়ারি। মাত্র ৫০ টাকার এক বেকারি শ্রমিক থেকে আজ তিনি ভারতীয় সেনার (indian army) এক গর্বিত অফিসার হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন।
বিহারের (bihar) ভোজপুর জেলার আরার সুন্দরপুর বারজা গ্রামের দরিদ্র চাষির পরিবারের সন্তান ছিলেন বলবঙ্ক তিওয়ারি। তিনি জানান, ‘অভাবের সংসারে বাবার কঠোর পরিশ্রম আমাকে কুড়ে কুড়ে খেত। অভাবের সংসারের একটু সুরাহা করতে দশম শ্রেণি পাশ করার পর কাজে লেগে যাই। ওড়িশার রাউরকেলায় গিয়ে একটা লোহার জিনিসপত্র তৈরির কারখানায় কাজ শুরু করি। তারপর দৈনিক ৫০ টাকার বিনিময়ে এক বেকারিতে কাজ করতাম। আবার পড়াশুনাও করতাম এবং অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের জন্য টিউশনও কতাম। সেখান থেকেই উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে কলেজে ভর্তি হই’।
তিনি আরও জানান, ‘কলেজে পড়াকালীন দানাপুরে সেনা নিয়োগের খবর দেন আমার কাকা। প্রথমবার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারায়, মনে জেদ এনে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিই। পাশ করে সিপাই পদে ভোপালে পোস্টিং হয় আমার। তারপর সেখানে গিয়ে জানতে পারি অফিসার হতে গেলে আর্মি ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হতে হয়। সেখানেও ভর্তি হয়ে, পরীক্ষায় পাশ করে আজকের দিনে একজন ভারতীয় সেনা অফিসার হিসেবে নিযুক্ত হই’।
বলবঙ্কের এই গল্পই প্রমাণ করে মনের জোড় আর ইচ্ছাশক্তি থাকলে, মানুষ যে কোন বাধা সহজেই অতিক্রম করতে পারে। শুধুমাত্র ভারতীয় সেনার একজন সিপাই হয়েই থেমে থাকেনি বলবঙ্ক, শিখরে ওঠার চেষ্টা চালিয়ে আজ সে সফল অফিসার। আর শনিবারই তাঁর হাতে অফিসার হিসেবে কাজ করার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়। তাঁর এই সাফল্যের দিনে, পাশে ছিলেন মা, স্ত্রী এবং তাঁর মাস তিনের ছোট্ট মেয়েটিও।