বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শীতের খাবারের মেনুতে ফুলকপির (cauliflower) নানারকম পদ কে না পছন্দ করে? রোস্ট থেকে শুরু করে একাধিক পদের জন্য ফুলকপি একেবারে সঠিক সবজি। কিন্তু মরসুমের শুরুতে সাধারণত ফুলকপির দাম যথেষ্ট বেশি থাকে। তাছাড়া শীতের সময় ছাড়া ভালো ফুলকপি পাওয়া অত্যন্ত দুষ্কর। সেক্ষেত্রে রান্নার জন্য ব্যবহার করতে হয় কোল্ড স্টোরেজের সবজি। আর তার দাম অত্যন্ত বেশি।
চাষী ভাইরা কিন্তু এই কথাটি মাথায় রেখে দারুন লাভজনক একটি চাষ করতে পারেন। ‘আর্লি কলিফ্লাওয়ার’ (Early Cauliflower farming) ফুলকপিরই একটি উন্নততর প্রজাতি। যা শীত শুরু হবার ঠিক আগে আগেই বাজারে আসে। শীতের ফুলকপির মতই এটি সমান সুস্বাদু এবং এর চাষ আপনি শুরু করতে পারবেন বর্ষাকালেই। যেহেতু মরসুমের প্রথম দিকে ফুলকপির দাম অত্যন্ত বেশি থাকে, তাই সঠিক সময়ে “আর্লি কলিফ্লাওয়ার” চাষ করলে আপনি প্রায় দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা লাভ করতে পারবেন।
অনলাইন মার্কেট থেকে শুরু করে অনেক জায়গাতেই এই নতুন ধরনের ফুলকপির বীজ কিনতে পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম বীজের দাম সাধারণত ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা, যা এক একর জমির ক্ষেত্রে যথেষ্ট। তবে মনে রাখবেন ফুলকপির চাষ অত্যন্ত সাবধানে করতে হয়। যেহেতু এই নতুন ধরনের ফুলকপির চাষটি হয় বর্ষায়, আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে জমিতে যাতে জল না জমে। এছাড়া বীজ বপনের আগে একবার চাষ দিয়ে নেওয়া জরুরী। সার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন গোবর সার। এছাড়া কীটনাশক এবং অন্যান্য ওষুধ পত্র ব্যবহার করাও জরুরি। এক্ষেত্রে শ্রমিকদের মজুরি সহ খরচ হতে পারে কুড়ি থেকে পঁচিশ হাজার টাকা।
সব মিলিয়ে ৫০ হাজার টাকার মধ্যেই চাষের সমস্ত খরচ মেটাতে পারবেন আপনি। ‘আর্লি কলিফ্লাওয়ার’ চাষ শুরু হয় জুলাই-আগস্ট মাসে। শীত শুরুর আগে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর নাগাদ এই ফসল ঘরে তুলতে পারবেন আপনি। সাধারণত এক একর জমিতে ১০০ কুইন্টল সবজি ফলাতে পারবেন আপনি। শীতের শুরুর দিকে সাধারণ বাজারে ফুলকপি সাধারণত ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কিলো দরে বিক্রি হয়। এক্ষেত্রে যদি আপনি মান্ডিতে ফসল বিক্রয় করেন ২০-২৫ টাকা কিলো দরে দাম পাওয়া খুবই সহজ। এক্ষেত্রে আপনার হাতে আসবে দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা। খরচের ৫০০০০ টাকা বাদ দিলেও দু’লক্ষ টাকা লাভ পাবেন আপনি। অন্যদিকে যদি বিভিন্ন বাজারের সঙ্গে চুক্তি করে খোলা বাজারে ফসল বিক্রি করতে পারেন তাহলে তিন থেকে চার লক্ষ টাকা লাভ হওয়াও আশ্চর্যের কিছু নয়।