বাংলাহান্ট ডেস্ক: জি বাংলার ‘রান্নাঘর’এর দৌলতে সুদীপা চট্টোপাধ্যায় (sudipa chatterjee) এখন বাঙালির ঘরের মেয়ে হয়ে গিয়েছেন। প্রতিদিন বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ হরেক রকম দেশি বিদেশি রান্নার রেসিপি নিয়ে হাজির হয়ে যান সুদীপা। মিষ্টি মেয়ের ততোধিক মিষ্টি সঞ্চালনায় বুঁদ হয়ে রয়েছেন দর্শকেরা।
ক্যামেরার সামনের সুদীপা কিন্তু বাস্তব জীবনেও ততটাই সহজ সরল ও মিষ্টি। পরিবারের সকলের সঙ্গে মিলে হাসি, আনন্দে, মজায় থাকতে ভালবাসেন তিনি। পরিচালক স্বামী অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়, ছোট্ট ছেলে আদিদেব ও অগ্নিদেবের আগের পক্ষের ছেলে আকাশকে নিয়ে সুদীপার সংসার।
দীর্ঘ ১১ বছরের দাম্পত্য জীবন অগ্নিদেব সুদীপার। প্রেমের বিয়ে তাঁদের। এত বছরেও ভালবাসা কমেনি একটুকুও। কিন্তু সম্প্রতি অগ্নিদেবের উপর বেশ রেগেই গিয়েছেন সুদীপা। অগ্নিদেবের একটি কাজ একেবারেই পছন্দ হয়নি তাঁর। প্রকাশ্যেই স্বামীর উপর অভিমান করে সুদীপা বলেন, এমন কাজ কিভাবে করতে পারলেন তিনি।
আসলে সম্প্রতি সুদীপার একটি পুরনো ছবি শেয়ার করেন অগ্নিদেব। ছবিতে সুদীপাকে চেনা দুষ্কর। আগে অনেকটাই ওজন কম ছিল তাঁর। তিনি জানিয়েছেন সে সময় তাঁর ১৯-২০ বছর বয়স হবে। কালো শাড়ি গয়নায় সেজে অপরূপা দেখতে লাগছে সুদীপাকে। অগ্নিদেবের শেয়ার করা সেই ছবিটি আবারো শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘সেই ‘চাঁদনি’ আর ‘সিলসিলা’র দিনগুলো। তুমি এটা আমার সঙ্গে কীকরে করলে অগ্নিদেব? লাঞ্চের জন্য কালো কে পরে? হে ভগবান!’
পোস্টের কমেন্ট বক্সে সুদীপাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছে অনুরাগীরা। একজন লিখেছেন, সুদীপা আর সুদীপার হাসিটা একই রকম আছে। মাঝে শুধুই সময়ের ব্যবধান। আবার কয়েকজন কটাক্ষ করে বলেছেন, তখন দিব্যি ইমিটেশন পরতো আর এখন সোনা ছাড়া পরেই না। সুদীপাও সপাটে উত্তর দিতে ছাড়েননি। তাঁর বক্তব্য, অ্যালার্জি মানুষের যেকোনো বয়সেই শুরু হতে পারে। তাছাড়া এটি রূপোর হার। তিনি আরো বলেছেন, ‘আমার বাবা-জেঠারা, বড় দাদারা আমাকে খুবই আদরে মানুষ করেছেন। তাদের অজান্তেই অপমান করবেন না।’
কিছুদিন আগেই বিয়ের ১১ বছর পূর্তির আগে অদেখা কিছু ছবি শেয়ার করেছিলেন সুদীপা। ২০১০ এর ৯ জুলাই আইনি বিয়ে হয় সুদীপা ও অগ্নিদেবের। তাঁদের বালিগঞ্জ প্লেসের বাড়িতে ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা। তারও সাত বছর পর সামাজিক বিয়ের অনুষ্ঠান করেন সুদীপা অগ্নিদেব।