বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রতিবেশি দেশ হয়েও, ক্রমাগত ভারতের (india) সঙ্গে শত্রুতায় নিয়োজিত রয়েছে জিনপিং-র শেষ চীন (china)। এবার সেই দেশেরই অর্থাৎ চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (Chinese Communist Party) শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনাসভায় যোগ দিল ভারতের বাম নেতৃত্বরা। চাপানউতোর শুরু রাজনৈতিক মহলে।
চলতি বছরই শতবর্ষে পদার্পণ করেছে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি। আর এই উপলক্ষ্যে সিসিপি-র সাধারণ সম্পাদক এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং একটি ভার্চুয়াল সভার আয়োজ করে। সেখানে বিভিন্ন দেশের ১৬০ টি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বকে আমন্ত্রণও জানানো হয়। আর দিল্লীর চীনা দূতাবাস আয়োজিত এই ভার্চুয়াল সভায় যোগ দিয়ে মহাবিপাকে বাম নেতৃত্বরা।
চীনের এই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ভার্চুয়াল সভায় বাম নেতাদের উপস্থিত হওয়ার বিষয়টা একদমই ভালো ভাবে নেয়নি বিজেপি। গোটা ঘটনাকে লজ্জাজনক বলে তোপ দেগেছে বিভিন্ন বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও এবিষয়ে বাম নেতৃত্বরা জানিয়েছেন আদর্শগত বোঝাপড়া আদানপ্রদান আর রাষ্ট্রীয় স্বার্থ, কূটনীতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। আর সেই দিকটা বিচার করেই আদর্শগত দিক থেকে তাঁরা এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন।
আবার শোনা যাচ্ছে, কমিউনিস্ট পার্টির শতবর্ষ উপলক্ষ্যে ২২টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে বিশেষ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন শি জিংপিং। আর চীনের সেই নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে ৫ ই থেকে ১৫ ই অগাস্ট পর্যন্ত চীন সফরে যাচ্ছেন সিপিএম, সিপিআই এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রতিনিধিরা।
এসবের মধ্যে এদিনের ভার্চুয়াল সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিএম, সিপিআই এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের তিন শীর্ষ নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, ডি রাজা লোকসভার সদস্য ডঃ এস সেন্থিলকুমার এবং জি দেবরাজনরা। আর তাঁদের এই উপস্থিতির বিষয়টা ভালো ভাবে নেয়নি বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বরা।
এবিষয়ে বাম নেতৃত্বদের দিকে তোপ দেগে আক্রমণ করে বিজেপি সাংসদ অনিল জৈন বলেছেন, ‘বাম নেতাদের এটা ঠিক করতে হবে, তাঁরা ভারতের দিকে থাকবে নাকি চীনের দিকে থাকবে। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির বৈঠকে অংশ নেওয়াটা জাতির স্বার্থ ক্ষুন্ন করে। এতে জনগণের কোন উপকার হবে না। এটা একপ্রকার বিশ্বাসঘাতকতারই পরিচয়’।