বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জুলাই মাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা থেকে নাম বাদ পড়েছে বাবুল সুপ্রিয়র (Babul Supriyo)। এরপরই তিনি রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এমনকি বিজেপি (Bharatiya Janata Party) ছেড়ে তৃণমূলে (All India Trinamool Congress) যোগ দেওয়ারও জল্পনা উঠেছিল চরমে। কিন্তু সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে আচমকাই ফেসবুকে রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা করেন বাবুল সুপ্রিয়। পাশাপাশি তিনি এও জানান যে, সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দেবেন।
নিজের ওই ফেসবুক পোস্টে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) সঙ্গে দ্বন্দ্বর কাহিনী কিছুটা তুলে ধরেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। ওনার ওই ফেসবুক পোস্টের পর এটুকু বোঝা গিয়েছিল যে, ওনার রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাওয়ার প্রধান কারণের মধ্যে একটা হলেন দিলীপ ঘোষ। আর বাবুল-দিলীপের দ্বন্দ্ব কারোরই অজানা নয়।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বোঝানোর পর বাবুল সাংসদ পদে বহাল থাকার সিদ্ধান্ত নেন। তবে তিনি যে আর রাজনীতির ময়দানে থাকবেন না, সেটাও জানিয়ে দেন। বাবুল সুপ্রিয় জানান যে, আগামী দিনে অরাজনৈতিক ভাবে সাংসদের কাজ চালিয়ে যাব, কোনও রাজনীতির পতাকার তলে থাকব না। বাবুল সুপ্রিয় এও জানান যে, তিনি সরকারি বাসভবন আর নিরাপত্তাও ছাড়ছেন।
এবার কেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব গেল সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন বাবুল সুপ্রিয়। এবারও ওনার নিশানায় বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ‘রগড়ে দেওয়া” মন্তব্যকে সমর্থন করিনি। আর জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি করে দেওয়ার মন্তব্যকেও সমর্থন করিনি। এরকম মন্তব্যের জন্যই দলের ক্ষতি হয়েছে। আর আমি এসব মন্তব্যের বিরোধিতা করার জন্যই হয়ত আমার মন্ত্রিত্ব গিয়েছে।
দল ছাড়ার মন্তব্য প্রসঙ্গে বাবুল সুপ্রিয় বলেন। ‘আমি বিজেপি ছাড়ছি বলব না। আমি রাজনীতি ছেড়েছি। অনেকের সঙ্গে কাজ করেছি। তাঁদের কথা ভেবেই বিজেপি ছাড়ছি সেটা কোনদিনও বলব না। আমি আজীবন বিজেপির সমর্থক হয়েই রইব।”