বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলাদেশি বিনোদন দুনিয়ায় চর্চার কেন্দ্রে এখন একটাই নাম, পরীমণি (pori moni)। নিজের বাড়িতে প্রচুর বেআইনি বিদেশি মদ ও মাদক দ্রব্য রাখার অপরাধে সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছেন এই মডেল অভিনেত্রী। আপাতত বনানী থানা হয়েছে তাঁর অস্থায়ী আশ্রয়। এদিকে পরীমণিকে জন্য ফেঁসেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিসের ADC নিজেই।
জানা যাচ্ছে, পরীমণিকে জেরা করতে গিয়ে তিনি নিজেই তাঁর প্রেমে পড়ে গিয়েছেন। জেরার নাম করে মডেল অভিনেত্রীর সঙ্গে একান্তে ১৮ ঘন্টা সময় কাটান গোলাম সাকলায়েন নামে গোয়েন্দা পুলিসের ওই ADC। বিষয়টা প্রকাশ্যে আসার পরেই তদন্ত থেকে অপসারিত হয়েছেন তিনি।
গত মাসেই একবার সংবাদ শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছিলেন পরীমণি। ব্যবসায়ী নাসিরুদ্দিনের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। তুরাগতীরের বোট ক্লাবে তাঁকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে, এমনটাই দাবি ছিল পরীমণির। সেই মামলার তদন্তের নেতৃত্বে ছিলেন সাকলায়েন। শোনা যাচ্ছে তখন থেকেই দুজনের প্রেমের সূত্রপাত।
এরপর মাদক মামলায় র্যাবের হাতে পরীমণি গ্রেফতার হলে ফাঁস হয়ে যায় দুজনের প্রেম কাহিনি। উপরন্তু পরীমণি সাকলায়েনের একটি সিসিটিভি ফুটেজও ফাঁস হয়েছে যাতে আরো বিপাকে পড়েছেন ADC। ফুটেজে দেখা গিয়েছে গত ১ অগাস্ট সকাল আটটা নাগাদ রাজাবাগ অফিসার্স কলোনির মধুমতি ভবনের সামনে একটি সাদা গাড়ি এসে দাঁড়ায়।
গাড়ি থেকে নামেন লাল টি শার্ট পরা এক ব্যক্তি এবং তাঁর পেছন পেছন সাদা পোশাকে পরীমণি। দুজনেই রিসেপশন থেকে চাবি নিয়ে ভবনে ঢুকে যান। পরে ট্রলি ব্যাগ নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর আবার রাত দেড়টা নাগাদ পরীমণির গাড়ি এসে দাঁড়ায় ভবনের সামনে। কিছু সময় পর অভিনেত্রী গাড়িতে ওঠেন। কিন্তু এবারে তাঁর পোশাক ছিল কালো।
পরীমণির গাড়ি চালকও এই বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন।এমনকি সাকলায়েনের সিভিল ড্রেস পরে পরীমণির বাড়িতে যাওয়া, একসঙ্গে ঘোরাঘুরির কথাও জানিয়েছেন তিনি। দুজনের একসঙ্গে সরকারি ফ্ল্যাটে সময় কাটানোর বিষয়টা প্রমাণ হতেই বদলি করা হয়েছে সাকলায়েনকে।