বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আফগানিস্তানে পরিস্থিতি বর্তমানে কতটা খারাপ, গতকাল ক্রিকেটার রশিদ খানের ট্যুইটের পর আর আলাদা করে বলে দেবার কিছু নেই। তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন, মহিলাদের উপর চলছে নিদারুণ অত্যাচার। শিশুদেরও বাধ্য করা হচ্ছে হাতে অস্ত্র তুলে নিতে। এবার মহিলাদের উপর কি ধরনের অত্যাচার করছে তালিবানরা তার কিছুটা সামনে এলো সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে। এই মুহূর্তে মার্কিন সৈন্য সরে যাবার পর আফগানিস্তানের বেশিরভাগ এলাকাই তালিবানদের কবলে।
সংবাদমাধ্যমে রিপোর্ট অনুযায়ী, দখলীকৃত এলাকায় মহিলাদের রীতিমতো অপহরণ করেছে তারা। তাদের জোর করে বিবাহ করে গোলাম বানিয়ে রাখা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, জায়গায় জায়গায় ১৫ বছর বয়সী আফগান কন্যা এবং ৪০-৪৫ বছর বয়সী বিধবা মহিলাদের তালিকা চাওয়া হচ্ছে। পরে সেই তালিকা অনুযায়ী, তাদের বিবাহ দেওয়া হচ্ছে তালিবানি জঙ্গিদের সাথে।
যার জেরে এখন রীতিমতো সংকটে রয়েছেন মহিলারা। এই বিষয়ে বলতে গিয়ে আফগানিস্তান হাই কাউন্সিল ফর ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশনের সদস্য ফারুখন্দা জাহরা নাদেরি রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আমার সবচেয়ে বড় ভয় হল তালিবানরা মহিলা নেত্রীদের ওপরেও রীতিমতো চাপ সৃষ্টি করছে তালিবানরা এবং তাদের সঙ্গে জবরদস্তি অত্যাচার চালাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে মহিলারা এতদিনে যা অগ্রগতি করেছেন তার সমস্তটাই শেষ হয়ে যাবে।
ব্লুমবার্গের প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, তালিবানরা যে যে এলাকা ইতিমধ্যেই দখল করেছে সেখানে মহিলাদের থাকা রীতিমতো কঠিন হয়ে গিয়েছে। তালিবানরা শরিয়া আইন লাগু করতে চায়। শরিয়া আইন মেয়েদের স্বাধীনতা অনেকটাই হস্তক্ষেপ করবে। যার ফলে তাদের স্বাভাবিক জীবন বলে আর কিছুই থাকবে না। এর জেরে মেয়েদের জন্য হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। শুধু তাই নয় স্কুলে যতক্ষণ না মহিলা শিক্ষিকা থাকবেন ততক্ষণ মেয়েরা স্কুলে যেতে পারবেন না। তালিবানদের মতে নিয়ম পালন না করলে বড় শাস্তির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে তাও জানিয়ে রেখেছে তারা।