বাংলাহান্ট ডেস্ক: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে টলি ও টেলিপাড়ার তারকাদের রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক দেখা গিয়েছিল। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো তারকার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার বা দল বদলের খবর সামনে আসছিল। স্রোতে গা ভাসিয়ে রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (srabanti chatterjee)। বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়েও জয়ের মুখ দেখতে পাননি।
সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমকে অভিনেত্রী বলেন এখন অভিনয়ের দিকেই মন দিতে চান তিনি। কারণ বাংলার মানুষ তাঁকে অভিনেত্রী হিসেবেই দেখতে চান। ভোটের পরেও শ্রাবন্তীর সোশ্যাল মিডিয়ায় আর রাজনৈতিক পোস্টের নামগন্ধ পাওয়া যায়নি। ওই মন্তব্যের পরেই হঠাৎ ভোলবদল! মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (mamata banerjee) ধন্যবাদ জানিয়ে পোস্ট করলেন শ্রাবন্তী।
অতি সম্প্রতি জন্মদিন পালন করেছেন।টলিউড অভিনেত্রী। অনুরাগীদের ভালবাসা, সতীর্থদের শুভকামনা সহ প্রচুর উপহারেও ভেসেছিলেন। কিন্তু তাঁর পাওয়া সেরা উপহারটা এদিন অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন শ্রাবন্তী। তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিশেষ বার্তা পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সেখানে লেখা, ‘প্রিয় শ্রাবন্তী, শুভ জন্মদিনে আমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা। আগামীতে আসুক আরো সাফল্য, আরো আনন্দ, এই শুভেচ্ছা রইল। পরিবারের সকলকে নিয়ে ভালো থেকো, সুস্থ থেকো।’ মুখ্যমন্ত্রীর চিঠিটির ছবি শেয়ার করে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘আমি সম্মানিত হলাম। এটা আমার জন্মদিনের সেরা উপহার।। ধন্যবাদ দিদি।’
ছবিটি দেখে কমেন্ট করার লোভ সামলাতে পারেননি নেটনাগরিকরা। একের পর এক কটাক্ষ উড়ে এসেছে। একজনের প্রশ্ন, ‘তোমার বর পরিবর্তন দেখতে রাজ্যবাসী অভ্যস্ত, এখন কি দল পরিবর্তন করতে চাইছো!’ আবার আরেকজন কটাক্ষ ছুঁড়েছেন, ‘কে কখন কোন দলে ঠিক নেই। যেদিকে হাওয়া এরা সেদিকে। সব সুবিধাবাদী।’
প্রসঙ্গত, নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েই তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছিলেন শ্রাবন্তী। টুইটে তিনি লিখেছিলেন, ‘পিসি ভাইপো রাজনীতির জন্যই নেতা, কর্মী, মন্ত্রীরা তৃণমূল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। এই দুজন সবসময় নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে এসেছে।’ তবে নির্বাচনে জেতার পরে তৃণমূলকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছিলেন শ্রাবন্তী।