বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বর্তমান সময়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Swasthya Sathi card) থাকলে, চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন বাংলার মানুষজন। এই কার্ডের আয়ত্তায় যারা এসেছেন, তাঁদের যে কোন চিকিৎসার ক্ষেত্রে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে সরকার। তবে হাসপাতালে ভর্তি না হয়েই, চিকিৎসা না করিয়েই, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থেকে মোটা টাকা কেটে নেওয়ার অভিযোগ করলেন জনাইয়ের বাসিন্দা মিনা সাঁতরা।
রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রকল্প স্বাস্থ্যসাথী কার্ড চালু করার পর থেকে বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানারকম অভিযোগ সামনে এসেছে। কখনও অভিযোগ উঠেছে, এই কার্ড থাকা সত্ত্বেও কার্ড গ্রহণ করতে চাইছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, আবার কখনও দেখা গিয়েছে রোগীর পরিবারের কাছে কার্ড থাকলেও, তাতে টাকা নেই।
তবে এবার সেসবকে ছাপিয়ে গেল এই ঘটনা। চিকিৎসা করা তো দূর, হাসপাতালেই যাননি হুগলির জনাইয়ের বাসিন্দা মিনা সাঁতরা। লোকের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন তিনি। কিন্তু তাঁর মোবাইলেই ম্যাসেজ এল, চিকিৎসা খরচ বাবদ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থেকে কেটে নেওয়া হল মোটা অংকের টাকা।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের ফর্ম ফিলআপ করার পর, তা ঠিক মত জমা পড়েছে কিনা সেই ম্যাসেজ এসেছে কিনা তা দেখার জন্য পঞ্চায়েত সদস্য অভিজিৎ কর্মকারকে নিজের মোবাইল দেন মিনা সাঁতরা। কিন্তু অভিজিৎ বাবু জানান, লক্ষ্মীর ভান্ডার নয়, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থেকে চিকিৎসা বাবদ মোটা টাকা কেটে নেওয়ার একটা ম্যাসেজ এসেছে তাঁর নামে।
সেখানে বলা হয়েছে, ডানকুনির ওই হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। নার্সিংহোমে ভর্তি হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে ২২ শে আগস্ট নার্সিংহোম থেকে তাঁকে ডিসচার্জ করা হয়। সেই কারণে মোটা টাকা অংকের টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে তাঁর কার্ড থেকে।
মিনা সাঁতরা অভিযোগ করেছেন, তিনি হাসপাতালে না গেলেও, তাঁর নামে কেন এমন ম্যাসেজ এল? তাঁর অভিযোগ এই বিষয়ে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকেও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। তবে হাসপাতালের দাবী, মোবাইল নম্বরের কিছু সমস্যার কারণে এমনটা হয়েছে।