বাংলাহান্ট ডেস্ক: নব্বইয়ের দশকে মল্লিকা শেরাওয়াত নামটা শুনলে হৃদয়ে ঝড় উঠত না এমন পুরুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ইমরান ২০০৪ সালে ইমরান হাশমির বিপরীতে ‘মার্ডার’ ছবিতে মল্লিকা শেরাওয়াত (mallika sherawat) বোল্ড অভিনয় কেই বা ভুলতে পেরেছেন। সে সময় ছবিতে মল্লিকা শেরাওয়াতের ঘনিষ্ঠ দৃশ্য থাকা মানেই সে ছবি হিট হবেই।
দীর্ঘদিন পর ফের বলিউডে অভিনয় জগতে ফিরেছেন মল্লিকা। তবে সেলুলয়েডে নয়, এবারে ডিজিটাল দুনিয়ায় অভিষেক করলেন তিনি। ‘নকাব’ ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে OTT র দুনিয়ায় পা রাখলেন মল্লিকা। অনেকদিন পর বলিউডে ফিরেছেন তিনি। আর ফিরেই নস্টালজিক হয়ে পড়েছেন অভিনেত্রী।
বলিউডে মল্লিকা শেরাওয়াত মানেই বেডসিনের রমরমা। এই ইন্ডাস্ট্রি কাস্টিং কাউচের জন্য কুখ্যাত। বহু মডেল অভিনেত্রী অভিযোগ এনেছেন পরিচালক প্রযোজকদের বিরুদ্ধে। মল্লিকাকে কখনো এমন ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছে? অভিনেত্রী জানান এমন ঘটনা তাঁর সঙ্গে কখনো ঘটেনি।
মল্লিকার কথায়, ‘সম্ভবত আমাকে ওঁরা ভয় পেত। আমি সাহসী অভিনেত্রী হিসেবেই পরিচিত ছিলাম। তাই ওঁদের ধারনা ছিল আমি লজ্জা পাব না। উলটে প্রতিবাদ করব। আমি বলিউডের কোনো পার্টিতে যাইনি। কোনো পরিচালক প্রযোজকের সঙ্গে হোটেলের রুমে একান্তে দেখা করে সময় কাটাইনি। আমি ঠিক করে নিয়েছিলাম কপালে যা আছে তা হবে। কিন্তু কাজ পাওয়ার জন্য এসবের প্রয়োজন হবে তা কখনো মনে করিনি।’
এর আগে মল্লিকা নিজের স্ট্রাগলের কথা উল্লেখ করেছিলেন। অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে পিতৃতান্ত্রিক সমাজের বিরুদ্ধে লড়াই করে বলিউডে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। এই বিষয়ে পরিবারের কারোর থেকেই কোনো সাহায্য পাননি তিনি। এমনকি বাড়ি থেকে পালিয়ে মুম্বই চলে আসার জন্য তাঁকে ত্যাজ্যকন্যাও করেছিলেন রক্ষণশীল বাবা। তবে মল্লিকার ভাগ্য ভাল এই ইন্ডাস্ট্রি তাঁকে ফিরিয়ে দেয়নি।
দলের মধ্যেই অভিষেককে কোণঠাসা করছেন কে? সামনে বিস্ফোরক অভিযোগ…