বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সমীর ওয়াংখেড়ে, বর্তমানে অনেক বলিউডি তারকার কাছেই এই নামটি একটি মূর্তিমান আতঙ্ক। তার রেকর্ড-বুকের দিকে একটি বার চোখ পড়লেই বোঝা যায় এই আতঙ্কের কারণ। রুপোলি পর্দার ‘দাবাং’ বা ‘সিংহম’ নয়, বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ রহস্যের পর্দা ফাঁস করেছেন এই অফিসার, যার ভয়ে রীতিমতো বুক কেঁপে উঠেছে অপরাধীদের। বর্তমানে ফের একবার তিনি শিরোনামে উঠে এসেছেন শাহরুখ পুত্র আরিয়ানের কীর্তি ফাঁস করে।
তবে ২০০৮ ব্যাচের এই আইআরএস অফিসারের এটাই প্রথম বলিউডের সঙ্গে পাঙ্গা নয়, কর্মজীবনের শুরু থেকেই একের পর এক কেসে মেরুদন্ড সোজা রেখে নিজের বলিষ্ঠ সত্ত্বার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। সমীরের নাম প্রথমবার সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে ২০১১ সালে। সেবার শুল্ক না দেওয়ায় বিশ্বকাপের সোনার ট্রফি মুম্বাই বিমানবন্দরেই আটকে দিয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত আমদানি শুল্ক মিটিয়ে তবেই ট্রফিটি ছড়ানো হয়, পরবর্তী ক্ষত্রে যা উঠেছিল ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতে।
এরপর ফের ২০১৩ সালে সংবাদ শিরোনামে উঠে আসেন সমীর ওয়াংখেড়ে। সেবার মুম্বাই বিমানবন্দরে বিদেশি মুদ্রাসহ গায়ক মিকা সিংকে গ্রেপ্তার করেন তিনি। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর এই অফিসারের হাত ধরেই সুশান্ত সিং রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে মাদক যোগের কথাও সামনে আসে। গত দু’বছরে মুম্বাই বিমানবন্দরে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকার মাদক ধরা পড়েছে সমীর ওয়াংখেড়ে এবং তার দলের হাতে।
এমনকি অনুরাগ কাশ্যপ, বিবেক ওবেরয়, রামগোপাল বর্মাদের বিরুদ্ধে হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি রাখার অভিযোগে তদন্ত চালিয়েছেন মুম্বাইয়ের এই দাবাং অফিসারই। বর্তমানে তাঁর সর্বশেষ অপারেশন ছিল শাহরুখ পুত্রের কীর্তি ফাঁস করা। জানা গিয়েছে, তার কাছে গোপন সূত্রে খবর দিয়েছিল প্রমোদ তরীর এই মাদক পার্টিতে উপস্থিত থাকতে পারেন কোনো এক বলিউড কিংবদন্তির পুত্র। সেই সূত্র ধরেই যাত্রীর ছদ্মবেশে অভিযান চালান তিনি। আর তাতেই সামনে আসে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
বাস্তবিক জীবনেও বলিউড যোগ রয়েছে এই দাবাং অফিসারের। তার স্ত্রীর নাম ক্রান্তি রেডকর, মারাঠি সিনেমার এই অভিনেত্রী কাজ করেছেন বলিউডেও। অজয় দেবগনের সঙ্গে ‘গঙ্গাজল’ সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা গেছে তাকে। এছাড়া একাধিক মারাঠি চলচ্চিত্র পরিচালনাও করেছেন তিনি।