বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের পর দ্বিতীয় সর্বাধিক আইপিএল ট্রফি শিকারি দল হিসেবে শুক্রবার নিজেদের চতুর্থ ট্রফি জয় করেছে ধোনির সিএসকে। অন্যদিকে কলকাতার কাছেও তৃতীয়বার ট্রফি জয়ের সুবর্ণ সুযোগ ছিল কিন্তু কার্যত অসহায় আত্মসমর্পণের জেরে কাল সেই সুযোগ হাতছাড়া করেছে মর্গ্যান বাহিনী। তবে ১৯৩ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা গতকাল ভালই করেছিল কেকেআর। জোড়া অর্ধশত রান করেছিলেন ভেঙ্কটেশ এবং শুভমান। কিন্তু কার্যত ৪ জন খেলোয়াড়ের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের দৌলতে কাল জয় হাতছাড়া হয় কলকাতার। আসুন চিনে নেওয়া যাক কলকাতার ম্যাচের এই চার ভিলেনকে।
ইয়ন মর্গ্যানঃ
একথা ঠিক যে মর্গ্যানের নেতৃত্বেই আইপিএল ফাইনালে পৌঁছে ছিল কেকেআর। কিন্তু দুবাইতে ব্যাট হাতে একেবারেই ফর্মে ছিলেন না ইংল্যান্ডের এই তারকা। আরসিবির বিরুদ্ধে একটি ৪০ রানের ইনিংস ছাড়া সেভাবে ব্যাট হাতে কোন রানই পাননি তিনি। গতকাল ফাইনালেও তিনি সাজঘরে ফেরেন মাত্র চার রানে। যার জেরে আরও চাপে পড়ে যায় কলকাতা।
দীনেশ কার্তিকঃ
ব্যাট হাতে এবারের আইপিএল মোটেই ভালো যায়নি কার্তিকের। ফাইনালেও সেই ধারা ছিল অব্যাহত। তার ওপর আবার গতকাল গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ফ্যাফ ডুপ্লেসির সহজ স্টাম্পিংয়ের সুযোগও হাতছাড়া করেন এই খেলোয়াড়। পরবর্তী ক্ষেত্রে ৫৯ বলে ৮৭ রানের দুর্ধর্ষ ইনিংস উপহার দেন সেই ডুপ্লেসিই। গতকাল কার্যত কেকেআরের বড় ভিলেন হয়ে ওঠে প্রাক্তন অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক।
নীতিশ রানাঃ
শুভমান গিল এবং ভেঙ্কটেশ আইয়ারের হাত ধরে গতকালও দুর্দান্ত শুরু করেছিল কেকেআর। তিন নম্বরে আসা রানার উচিত ছিল লড়াই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। কিন্তু শার্দুল ঠাকুরের প্রথম বলেই নিজের উইকেট ছুঁড়ে দেন কেকেআরের এই তারকা। যার জেরে মিডল অর্ডারের উপর চাপ আরও বেড়ে যায়।
লকি ফার্গুসনঃ
কলকাতার হয়ে এবারের আইপিএলেও বল হাতে বারবার নায়ক হয়ে উঠেছিলেন ফার্গুসন। কিন্তু ফাইনালে গতকাল তার পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। কার্যত সিএসকের ব্যাটারদের সামনে অনভিজ্ঞ রঞ্জি ট্রফির বোলারদের মতোই মার খেয়েছেন তিনি। এমনকি কলকাতার হয়ে এদিন সবথেকে বেশি রান খরচ করেন ফার্গুসনই। যার জেরে গতদিনের নায়কই কলকাতার জন্য ভিলেন হয়ে ওঠেন ফাইনালে।