বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রথমবার বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কাছে লজ্জাজনক হার হয়েছে ভারতের। ভারতের দেওয়া ১৫২ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে এক উইকেটও না হারিয়ে রবিবার ম্যাচ জিতে নিয়েছে পাকিস্তান। বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ানের দুর্দান্ত ব্যাটিং তো ছিলই কিন্তু তার সাথে সাথে মরু দেশের প্রথম বড় মহাযুদ্ধে ভারতের হারের নেপথ্যে ছিল তিনটি বড় কারন। আসুন একটু বিশদে আলোচনা করা যাক।
প্রথমত, শাহীন শাহ আফ্রিদি এবং হাসান আলীর তিনটি বলেই মারাত্মক রকম ব্যাকফুটে চলে যায় ভারত। প্রথম ওভারেই শাহীন শাহ আফ্রিদি আউট করেন রোহিত শর্মাকে। এই বাঁহাতি গতি তারকা’র বল সোজা এসে আছড়ে পড়ে রোহিতের প্যাডে। যা কার্যত কোনও ভাবেই সামলাতে পারেননি তিনি। হিটম্যানের ফ্লপ হওয়া বড় ধাক্কা তো ছিলই, তার ওপর নিজের দ্বিতীয় ওভারে কে এল রাহুলকেও ফিরিয়ে দেন আফ্রিদি। আর এরপর হাসান ফিরিয়ে দেন সূর্য কুমার যাদবকে। শুরুতেই এই তিন উইকেটের ধাক্কা সামলে উঠতে বড় সময় লেগে যায় ভারতের। যার ফলে ম্যাচে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ে বিরাট বাহিনী।
দ্বিতীয়ত, এদিন একেবারেই ফ্লপ ছিল ভারতীয় বোলিং। ১৫১ রান দুবাইতে ম্যাচ জেতানো স্কোর না হলেও লড়াকু স্কোর যে ছিল এই নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু এদিন মারাত্মকভাবে রান খরচ করেন মোহাম্মদ শামি, ভুবনেশ্বর কুমাররা। একদিকে যেমন ১১.২ রেটে ৩.৫ ওভারে ৪৩ রান খরচ করেন শামি, তেমনি অন্যদিকে ৮.৩ গড়ে রান দেন ভুবনেশ্বর কুমার। দলে রবীচন্দ্রন অশ্বিন না থাকারও প্রভাব এদিন স্পষ্টতই চোখে পড়ে। কারণে কথা কেউই অস্বীকার করতে পারবেন না যে শুরুর দিকে কিছুটা সাহায্য পাচ্ছিলেন ভারতীয় স্পিনাররা। যদিও কাল তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন বরুণ চক্রবর্তী এবং রবীন্দ্র জাদেজা।
তৃতীয়ত, আইপিএল থেকেই জানা গিয়েছিল চোট থেকে এখনও পুরোপুরি সেরে ওঠেননি হার্দিক পান্ডিয়া। এমনকি হরভজনের মত বিশেষজ্ঞ আজ তক-এর টিভি অনুষ্ঠানে এও স্বীকার করে নিয়েছেন যে তিনি জানতে পেরেছেন ইনজেকশন নিয়ে মাঠে নামতে হয়েছিল হার্দিককে। প্রশ্ন হল চোট সত্ত্বেও কেন খেলানো হল আধা সুস্থ হার্দিককে? আগে থেকেই জানা ছিল বল তিনি সেভাবে করতে পারবেন না। কাল ব্যাটিংয়ের পরেই হাতে চোট নিয়ে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় তাকে। তার জায়গায় ফর্মে থাকা ঈশান কিশানকে উপরের দিকে সুযোগ কি দেওয়া যেত না এবং ফ্লোটার হিসেবে ব্যবহার করা যেত না সূর্য কুমার যাদবকে? স্বাভাবিকভাবেই এখন এই প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা।