বাংলাহান্ট ডেস্ক: আদালতের দ্বারস্থ এবার খোদ নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ে (sameer wankhede)। আরিয়ান খান (aryan khan) মামলা থেকে তাঁকে সরানোর জন্য ভুয়ো অভিযোগ তোলা হচ্ছে। এই অভিযোগের জেরে গ্রেফতারও হতে পারেন তিনি, এমনি আশঙ্কা করে আদালতের দ্বারস্থ হলেন NCB র এই দুঁদে আধিকারিক।
রবিবার মুম্বইয়ের পুলিস কমিশনারের কাছে সুরক্ষার আবেদন করেছিলেন সমীর। অতি সম্প্রতি অভিযোগ ওঠে আরিয়ানের বিরুদ্ধে মাদক মামলায় সাক্ষী দেওয়ার জন্য তিনি নাকি ১৮ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। পলাতক সাক্ষী কিরণের সহকারী তথা দেহরক্ষী প্রভাকর সেইল অভিযোগ করেছেন, তাঁকে দিয়ে বয়ান হীন কাগজে সই করিয়েছে NCB।
সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে NCB র দফতরে আরিয়ানের পাশে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে পলাতক সাক্ষী কিরণ পি গোসাভিকে। ফোনে কারোর সঙ্গে আরিয়ানের কথা বলাচ্ছেন তিনি। এই ভিডিও ঘিরেই যত চাঞ্চল্য। যদিও সমীর ওয়াংখেড়ে উড়িয়ে দিয়েছেন ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ। আর তারপরেই আদালতের দ্বারস্থ তিনি।
এদিন একটি প্রেস বিবৃতিও জারি করেছেন NCB আধিকারিক। মহারাষ্ট্র সরকারের মন্ত্রী নবাব মালিকের ‘ভুয়ো’ দাবির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তিনি। নবাব মালিক একটি পুরনো জন্মনথি পত্রের ছবি টুইট করেছিলেন, যেখানে সমীরের বাবার নাম দাউদ ওয়াংখেড়ে হিসেবে দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু চাকরির পরীক্ষার সময় সমীর নিজের বাবার নাম লেখেন ধ্যানদেব ওয়াংখেড়ে।
I belong to multi religious and secular family. My father is a Hindu and my mother was a Muslim. Publishing of my personal documents on Twitter is defamatory and invasion of my family privacy. Pained by slanderous attacks by Maharashtra Minister Nawab Malik: Sameer Wankhede, NCB pic.twitter.com/L0VZKHIZ8p
— ANI (@ANI) October 25, 2021
মহারাষ্ট্র সরকারের মন্ত্রী অভিযোগ করেন, নিজের জাত লুকিয়ে NCB র চাকরি পেয়েছেন সমীর। পালটা প্রেস বিবৃতিতে সমীর ওয়াংখেড়ে বলেন, তাঁর বাবা ধ্যানদেব কাচরুজি ওয়াংখেড়ে একজন হিন্দু। তিনি পুণের স্টেট এক্সাইজ শাখার অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র পুলিস ইনস্পেক্টর। মা প্রয়াত জাহিদা ছিলেন মুসলিম। তিনি মিশ্র সংষ্কৃতি এবং সেক্যুলার পরিবারে বড় হয়েছেন এবং তা নিয়ে তিনি গর্বিত।
নিজের প্রথম বিয়েও স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্ট মেনে হয়েছে। দ্বিতীয় বিয়ের কথাও উল্লেখ করেছেন সমীর। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের তথ্য টুইটারে প্রকাশ করা সম্মানহানিকর এবং পারিবারিক গোপনীয়তাকে লঙ্ঘন করে। এতে তাঁর বাবা, প্রয়াত মা ও তাঁর পরিবারের সম্মানহানি হয়েছে বলে দাবি করেছেন সমীর ওয়াংখেড়ে।