‘অন্তর থেকে শিহরিত হয়ে গিয়েছিলাম’, সেলুলার জেলে বীর সাভারকরের সেলে বসে ধ‍্যান করলেন কঙ্গনা

বাংলাহান্ট ডেস্ক: দেশপ্রেমী হিসেবে কঙ্গনা রানাওয়াতের (kangana ranawat) সুখ‍্যাতি ও কুখ‍্যাতি দুইই রয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের নেকনজরে থাকতে দেশপ্রেমের ‘ভড়ং’ দেখান কঙ্গনা। তবে তাতে থোড়াই কেয়ার করেন তিনি। সদ‍্য তৃতীয় বারের জন‍্য সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। তার পরেই নয়া দিল্লি থেকে সোজা আন্দামান নিকোবরের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।

সেখানে পৌঁছেই একসময়ের কুখ‍্যাত সেলুলার জেলে পৌঁছান কঙ্গনা। বীর বিনায়ক দামোদর সাভারক‍রের সেলে বসে তাঁকে সম্মান জানান অভিনেত্রী। নিজের এই বিশেষ সফরের সমস্ত ছবি সোশ‍্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন কঙ্গনা। ইতিমধ‍্যেই তা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে নেটপাড়ায়। প্রশংসার বন‍্যায় ভেসেছেন তিনি।

kangana 575
নিজের ইনস্টাগ্রাম হ‍্যান্ডেলে একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করেছেন কঙ্গনা। সেলুলার জেল চত্বর, জেলের করিডোরের ছবিও উঠে এসেছে তাঁর পোস্টে। বীর সাভারকরের সেলে তাঁর ছবির সামনে বসে ধ‍্যানরত কঙ্গনার ছবি প্রকাশ‍্যে এসেছে। ছিমছাম সাদা চিকনকারি চুড়িদার ও মুক্তোর গয়নায় শুভ্র, পবিত্র দেখাচ্ছিল তাঁকে।

পোস্টের সঙ্গে লম্বা ক‍্যাপশনে কঙ্গনা লিখেছেন, ‘আজ আন্দামান দ্বীপে এসেই আমি কালা পানি, সেলুলার জেলে বীর সাভারকরের সেলে এলাম। আমি অন্তর থেকে শিহরিত হয়ে গিয়েছিলাম। যখন অমানবিকতা চরমে পৌঁছেছিল তখন মানবিকতাও বীর সাভারকরের রূপে শীর্ষে উঠেছিল। সব হিংস্রতার প্রতিরোধ করেছিলেন তিনি এবং দৃঢ় সঙ্কল্প নিয়ে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন।’

কঙ্গনা আরো লিখেছেন, ‘বীর সাভারকরকে কত ভয় পেত ওরা যে জন‍্য তাঁকে কালা পানি দিয়েছিল। সমুদ্রের মাঝে এই ছোট্ট দ্বীপে বেঁচে থাকা অসম্ভব। তাও ইংরেজরা বীর সাভারকর জি কে গরাদের পেছনে ঢুকিয়ে দিয়েছিল। মোটা দেওয়াল ওয়ালা জেল বানিয়ে ওঁকে ছোট্ট কাল কুঠরিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।’ কঙ্গনা এই দেশপ্রেমের জন‍্য প্রশংসাও কুড়িয়েছেন।

Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর