বাংলা হান্ট ডেস্কঃ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সফরে গ্রুপ লীগের প্রথম দুই ম্যাচে ভারত এবং নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসের রীতিমতো তুঙ্গে পৌঁছে গিয়েছিল পাকিস্তান। শুধু তাই নয়, এবারের বিশ্বকাপে তারাই ছিল একমাত্র দল যারা গ্রুপ পর্বের প্রত্যেকটি ম্যাচেই ছিল অজেয়। তাই অনেকেই এবার পাকিস্তানকে ট্রফি জয়ের প্রধান দাবীদার হিসেবে দেখতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার দুবাইতে এই স্বপ্নে জল ঢেলে দেয় অস্ট্রেলিয়া। এক ওভার বাকি থাকতেই 177 রানের বিরাট লক্ষ্য তাড়া করে 5 উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় তারা।
যদিও ম্যাচের নিরিখে দেখতে গেলে প্রথম থেকে পাল্লা ভারি ছিল পাকিস্তানেরই। একদিকে যেমন ব্যাট হাতে 176 রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছিল তারা। তেমনি বল হাতেও অস্ট্রেলিয়াকে যথেষ্ট বিপদে ফেলেছিলেন শাহীন আফ্রিদি, শাদাব খানরা। এমনকি ১৯ তম ওভার অব্দি মনে হচ্ছিল ম্যাচ হয়তো জিতে যাবে পাকিস্তানই। কিন্তু ঠিক এই সময় 21 রানে ক্রিজে টিকে থাকা ম্যাথু ওয়েডকে বড় জীবন দান দেন হাসান আলি।
চাপের মুখে তার হাতেই সহজ ক্যাচ দিয়ে দিয়েছিলেন ওয়েড। কিন্তু সেই ক্যাচ তালুবন্দী করতে পারেননি হাসান। আর পরের তিন বলে তারই সুযোগ নেন ম্যাথু। ওভার বাউন্ডারির হ্যাটট্রিক করে অস্ট্রেলিয়ার ফাইনালে পৌঁছানো নিশ্চিত করে দেন তিনি। হাসান আলি এই ক্যাচ না ছাড়লে হয়তোবা পাকিস্তানের ভাগ্য পুরোপুরি বদলে যেতে পারত।
https://twitter.com/pikachu_writes3/status/1458892595699068930?t=XdPjw_37HPE1smdOlW6BiQ&s=19
স্বাভাবিকভাবেই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় মারাত্মক রকম ট্রোলড হচ্ছেন হাসান আলি। কার্যত এই হারের পেছনে এখন সবথেকে বড় ভিলেন হয়ে দাঁড়িয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই ম্যাচে শুধু ফিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রেই নয় বল হাতেও তেমন কিছু করে উঠতে পারেননি হাসান। বরং 4 ওভারে 11 গড়ে তিনি খরচ করেনি 44 রান। যদিও মনে রাখতে হবে, খেলার ক্ষেত্রে কোন খেলোয়াড়ের এইসব দিন ভালো যায় না। আর হাসান আলির জন্য কাল ছিল এমনই একটা দিন।