বাংলাহান্ট ডেস্ক: রাজনৈতিক সৌজন্য প্রকাশ্যে দেবের (dev) তুলনা নেই, একথা স্বীকার করবেন তাঁর শত্রুও। পাশাপাশি দুঃস্থ, অসহায়দের পাশেও বরাবরই দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। করোনা পরিস্থিতিতে কলকাতার পাশাপাশি নিজের সংসদীয় কেন্দ্র ঘাটালের মানুষের সাহায্যেও দেখা গিয়েছিল দেবকে। এবার ফের মানবিকতার নজির গড়লেন অভিনেতা সাংসদ।
ঘাটালের এক দুঃস্থ মেধাবী পড়ুয়ার জন্য ল্যাপটপের বন্দোবস্ত করে দিলেন দেব। সুমন মুদি ঘাটালের রঘুনাথপুরের বাসিন্দা। বীণাপাণি হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র সে। পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিপ্লোমা কোর্সও করছে সুমন। মেধাবী হলেও বাড়ির আর্থিক অবস্থা ভাল না হওয়ায় চরম সঙ্কটে পড়েছিল সে।
উচ্চশিক্ষার জন্য একটি ল্যাপটপের প্রয়োজন তাঁর। কিন্তু টাকার অভাবে কিনে উঠতে পারছিল না সুমন। বাবা দিনমজুরের কাজ করেন। অভাবের সংসারে ল্যাপটপের পেছনে অর্থব্যয় বিলাসিতার সমান। তাই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ বিকাশচন্দ্র কৌরের কাছে সাহায্য চেয়েছিল সুমন।
খবর পৌঁছায় সাংসদ দেবের কাছে। সঙ্গে সঙ্গে সুমনের জন্য একটি ল্যাপটপের ব্যবস্থা করে দেন তিনি। ঘাটালের মহকুমাশাসকের দফতর থেকে ল্যাপটপটি তুলে দেওয়া হয় পড়ুয়ার হাতে। দেবের এমন মহানুভবতায় কৃতজ্ঞ সুমন ধন্যবাদ জানিয়েছেন সাংসদকে।
পশ্চিম মেদিনীপুরেরই আরেক বাসিন্দা শিখা চক্রবর্তীকেও নতুন বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দেব। কিন্তু এখনো তা তৈরি হয়ে ওঠেনি। পশ্চিম মেদিনীপুরের অন্তর্গত দাসপুরের সোনামুই গ্রামের বাসিন্দা পান্তি পিসি। তাঁর ভাল নাম শিখা চক্রবর্তী। একা ভাঙাচোরা একটি বাড়িতে থাকতেন বিধবা মহিলা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বেহাল অবস্থা দেখে মন কেঁদে উঠেছিল দেবের। কথা দিয়েছিলেন, নতুন বাড়ি বানিয়ে দেবেন তিনি পান্তি পিসিকে।
সাংসদ নিজে আসতে পারেননি। নিজের প্রতিনিধি হিসেবে রামপদ মান্নাকে পাঠিয়েছিলেন পান্তি পিসির কাছে। পুরনো বাড়ি ভেঙে নতুন বাড়ি তৈরিও শুরু হয়। কিন্তু সে বাড়ির ইঁট অর্ধেক মতো গেঁথে কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। জানা গিয়েছে, অর্থাভাবে বন্ধ পড়ে রয়েছে কাজ।
কয়েক মাস আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সামনেই শীতকাল আসছে। বাধ্য হয়ে স্থানীয় স্কুলবাড়িতেই রাত কাটাচ্ছেন পান্তি পিসি। কবে আবার কাজ শুরু হবে সে বিষয়ে কোনো ধারনা নেই তাঁর। দেবের প্রতিনিধি রামপদ মান্না জানান, কিছু সমস্যা হওয়ায় কাজ বন্ধ করতে হয়েছিল। খুব শীঘ্রই আবার কাজ শুরু হবে।