বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করার পর তিনি পেয়েছিলেন ডিগ্রি। পাশাপাশি, দু’বছর ধরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে চাকরির জন্য প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে মেলেনি সাফল্য। তারপরেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন ব্যবসা করার। আর সেই পথে এগিয়েই আজ সফলতার শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছেন রাজস্থানের টঙ্ক জেলার বাসিন্দা অংশুল গোয়েল।
কলেজে পড়াকালীনই ব্যবসার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, ঠিক কি ব্যবসা করবেন তা বুঝে পাচ্ছিলেন না অংশুল। বিভিন্ন রকমের ব্যবসার চিন্তা মাথায় এলেও কম বাজেটের মধ্যে ব্যবসা শুরু করতে চেয়েছিলেন তিনি। ঠিক তখনই তিনি জানতে পারেন যে, মাত্র এক টাকায় মটর ভাজার প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে বাজারে। পাশাপাশি, শিশুদের এটি অত্যন্ত পছন্দের কারণে বাজারে এর চাহিদাও বেশি। এমনকি, এই ব্যবসা শুরুর জন্যে পুঁজিও লাগবে কম। তাই, তখনই অংশুল এই ব্যবসাটিকেই মন দিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।
২০১৭ সালে, প্রায় দেড় লক্ষ টাকা নিয়ে জয়পুর থেকে ব্যবসা শুরু করেন অংশুল। প্রথমে দু’ কুইন্টাল মটর কিনে ব্যবসা শুরু করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি, প্রায় ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে একটি সেকেন্ড হ্যান্ড মেশিনও কিনেছিলেন। তবে, অভিজ্ঞতার অভাবে প্রথমদিকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে তাঁকে। প্রায় দেড়-দু’মাস পর ব্যবসায় লাভ হতে শুরু করে অংশুলের।
ক্রমশ টঙ্ক জেলার পাশাপাশি আরও বিভিন্ন এলাকায় চাহিদা বাড়তে থাকে মটরের। এমতাবস্থায়, আর্থিক সংকটের কারণে অংশুল প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার ঋণ নেন এবং অংশীদারি প্রতিষ্ঠান চালু করে প্রায় ১১ টি নতুন প্রোডাক্ট বাজারে নিয়ে আসেন। এভাবেই মোট ঋণের প্রায় ৫০ শতাংশ তিনি পরিশোধ করে ফেলেন এবং বর্তমানে একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে অংশুল জানিয়েছেন, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময় আমার মনে হয়েছিল যে, চাকরির পরিবর্তে আমার ব্যবসায় যাওয়া উচিত। আমি বেতনে কাজ করতে চাইনি কিন্তু নিজের কাজের বস হতে চেয়েছিলাম। আমার পরিবারের সদস্যরা চেয়েছিলেন আমি পড়াশোনা করি এবং চাকরি করি। আমি সরকারি চাকরির জন্যও প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, কিন্তু কিছুদিন পরই নতুন করে ব্যবসার কথা ভাবতে লাগলাম। ”
পাশাপাশি, তিনি আরও বলেন যে, “আমি কি ব্যবসা শুরু করতে পারি তা দেখার জন্য বাজারে অনুসন্ধান চালাই। আমার বেশিরভাগ আত্মীয়স্বজন ব্যবসায়ী। আমি তাদের সাথেও পরামর্শ করেছিলাম। সমস্যা হল ব্যবসা শুরু করার জন্য বেশি পুঁজি ছিল না। আমাকে অল্প বাজেটেই কিছু করতে হত। তখনই মটর বিক্রি করার আইডিয়া পেলাম।”