বাংলাহান্ট ডেস্ক: বছর শুরু করেছিলেন ট্রোল দিয়ে, শেষও করছেন ট্রোল দিয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের সমালোচনার পাত্র হওয়াটা যেন জলভাত বানিয়ে ফেলেছেন করন জোহর (karan johar)। অবশ্য নেটনাগরিকদেরও দোষ দেওয়া যায় না। দেশে বাড়ন্ত ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা এবং করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার আতঙ্কের মাঝেও যদি কেউ প্রেক্ষাগৃহ খোলার আর্জি জানায় তবে তাকে ট্রোল তো হতেই হবে।
হ্যাঁ, এমন কাণ্ডই করেছেন করন। বৃহস্পতিবার দিল্লি সরকারের কাছে তিনি আবেদন করেছেন প্রেক্ষাগৃহ আবারো খোলার অনুমতি দিতে। করোনার বাড়বাড়ন্তের কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই সমস্ত প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে দিল্লিতে। কিন্তু করনের দাবি সেগুলো খুলে দিতে হবে আবারো।
বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় করন লেখেন, ‘দিল্লি সরকারের কাছে আবেদন জানাই সিনেমা হল আবার খুলে দেওয়ার জন্য। বাইরের পরিবেশের অন্যান্য জায়গার তুলনায় সিনেমা হলে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা বেশি সহজ। নিরাপদ দূরত্বও বজায় রাখা সহজ।’
https://twitter.com/karanjohar/status/1476556056805326855?t=Gijlq2bP1uCJc2VU_8EfMg&s=19
উল্লেখ্য, করনের ঠিক আগে আগে প্রোডিউসারস গিল্ড অফ ইন্ডিয়ার তরফেও এই একই দাবি করা হয়। কিন্তু নেটিজেনদের ক্ষোভটা গিয়ে পড়েছে করনের উপরে। একজন তীব্র কটাক্ষ করে লিখেছেন, গোটা দেশের মানুষের বিপদ। আর এদিকে ইনি নিজের জগতে মশগুল। আরেকজন লিখেছেন, অনলাইন প্ল্যাটফর্মেও ছবি দেখা যায়। কিন্তু সংক্রমণ বাড়লে অক্সিজেনের সরবরাহ কমবে। মানুষ মরবে। এতটুকুও সহানুভূতি নেই!
কিন্তু করনের যথারীতি কোনো হেলদোল নেই। অনেকের মতেই, সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেলে বড় ক্ষতির মুখে পড়বে বলিউড। এমনিতেই একাধিক ছবির মুক্তি আটকে গিয়েছে প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ হওয়ায়। কিছু ছবি আগামীতে মুক্তির জন্য অপেক্ষা করলেও যেভাবে করোনা বাড়ছে তাতে ছবিগুলিকে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে পরিচালক প্রযোজকদের। ওই ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্যই করন এমন প্রস্তাব দিয়েছেন বলে মত অধিকাংশের।