বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ‘রাজমিস্ত্রি বলে কি আমাদের মন নেই? আমরা কি ভালোবাসতে পারি না? ওদের সঙ্গেই আমরা সংসার করতে চাই’- জেল থেকে ছাড়া পেয়ে এমনই কিছু বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সেই দুই রাজমিস্ত্রি। বালির গৃহবধূ পলাতক কেস নিল এক নতুন মোড়।
সম্প্রতি বাড়িতে কাজ করতে আসা দুই রাজমিস্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করে গত ১৫ ই ডিসেম্বর একই সঙ্গে বাড়ি ছেড়েছিলেন একই বাড়ির দুই বউ রিয়া কর্মকার ও অনন্যা কর্মকার। সঙ্গে আবার নিয়ে গিয়েছিলেন রিয়ার সাত বছরের ছেলে আয়ুশকেও। বাড়িতে থেকে গোপনেই প্রেমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন এই দুই জা। কিন্তু প্রেমিকদের সঙ্গে পালিয়ে গেলে, অর্থের টানাটানিতে ফিরে আসতেই তাঁদের আসানসোল স্টেশন থেকে পাকড়াও করে নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ।
এই বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে কর্মকার বাড়ির বউ অনন্যা কর্মকার জানিয়েছিলেন, বছর আটেক আগে বিয়ে হওয়ার পর সেভাবে স্বামীকে কাছে পাননি। কাজের সূত্রে স্বামী বেশিরভাগ সময় বাড়ির বাইরে থাকায় নিঃসঙ্গতা অনুভব করতেন। যার কারণে বাড়িতে কাজ করতে আসা রাজমিস্ত্রির সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়। অন্যদিকে রিয়া কর্মকার জানিয়েছিলেন, ১০ বছর আগে বিয়ের পর এক সন্তানের জন্ম হলেও, স্বামী ঠিক মত সময় দিতে পারতেন না। যে কারণেই মন যায় বাড়িতে আসা মিষ্টিভাষী রাজমিস্ত্রির দিকে।
হাওড়ার নিশ্চিন্দা আনন্দনগর এলাকার দুই গৃহবধূর এই কেসে দুই গৃহবধূ এবং তাঁদের সাত বছরের সন্তানকে অপহরণের অভিযোগ আনা হয়েছে দুই রাজমিস্ত্রির উপর। যার কারণে হাওড়া জেলা আদালত, বৃহস্পতিবার ১৪ দিনের জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে সুভাষ ও শেখরকে।
এরপর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে শুভজিৎ দাস আর চন্দ্রশেখর মজুমদার নামক সেই রাজমিস্ত্রিদের বক্তব্য, বালির ওই দুই গৃহবধূর সঙ্গেই তাঁরা সংসার করতে চান। তাঁদেরকেই তাঁরা ভালোবাসেন। পরিবারেরও সম্মতি রয়েছে এবং আইনি জটিলতা কাটিয়ে তাঁরা একসঙ্গে থাকতে চায়।