পিকনিক থেকেই ফিরেই চরম সিদ্ধান্ত, ফেসবুক পোস্টের পরই মিলল তৃণমূল যুবনেতার ঝুলন্ত দেহ

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রবিবার গিয়েছিলেন বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিকে। বাড়ি ফিরে বেশ খোশমেজাজেই ছিলেন, এমনকি দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে চাও খেয়েছিলেন। এরপর বাড়ি ফিরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গল্প করার পর, করেন এই ফেসবুক পোস্ট। আর তারপর সব শেষ।

ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটির (naihati)। বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক থেকে ফিরে এভাবে আকস্মিক ভাবে তৃণমূল (tmc) যুবনেতা আত্মহত্যাকে মেনে নিতে পারছেন না কেউই। যদিও প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যা বললেও, এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

IMG 20210920 090746

জানা গিয়েছে, রবিবার বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক থেকে ফিরে, কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে চা খেয়ে বাড়ি ফিরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গল্পও করেন নৈহাটির ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামাসুন্দরী এলাকার বাসিন্দা বছর ২৮-র সৌম্যকান্ত বিশ্বাস। এরপর সন্ধ্যে ৭ টা নাগাদ ফেসবুকে একটি সাংঘাতিক পোস্ট করেন তিনি। সেখানে লেখেন ‘ফিরিবার পথ নাহি, দূর হতে যদি দেখ চাহি, পারিবে না চিনিতে আমায়, হে বন্ধু বিদায়’।

এমন অদ্ভূত পোস্ট দেখে তড়িঘড়ি তাঁর বাড়িতে পৌঁছান বন্ধুরা। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। গিয়ে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান বন্ধুরা। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও আর শেষ রক্ষা হয় না। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে দেয়।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘টিএমসিপি-র সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সৌম্য। অত্যন্ত ভালো ছেলে, সক্রিয় কর্মী এবং ছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের লড়াকু সৈনিক। দিন তিনেক আগেই ওর একটা ব্যক্তিগত সমস্যার সমাধান করি আমি। এই সমস্যাটাও আমাকে বলতে পারত। কোন ব্যক্তিগত সমস্যা থেকেই এমনটা করেছে’।

এবিষয়ে সৌম্যের এক কাকা বলেন, ‘তৃণমূলে এমন কোন নেতা কর্মী ছিল না, যারা ওকে চিনত না। কিন্তু কেন যে এমন করল, সেটাই বুঝতে পারছি না’।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর