বাংলাহান্ট ডেস্ক: শিশুটিকে বাঁচাতে হবেই। এই আর্জি নিয়েই ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন পেশায় টলিউডের এডিটর অনির্বাণ মাইতি। আর তাঁর এই আবেদনে সাড়া দিয়েই শিশুটির পাশে এসে দাঁড়ালেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঠিক কী ঘটেছিল?
গত ১২ জানুয়ারি নদীয়ার হরিণঘাটার নগরউখরার বাসিন্দা পূজা দেবনাথ দমদমের একটি বেসরকারি হাসপাতালে জন্ম দেন একটি ফুটফুটে শিশুর। কিন্তু সুখ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। জন্মের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই জানা যায় একরত্তির হৃদযন্ত্রে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসা শুরু না হলে বাঁচানো যাবে না তাকে। হাসপাতাল এও জানায় যে এই চিকিৎসা করার মতন পরিকাঠামো তাদের নেই। একমাত্র এসএসমেএম বা মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালেই সম্ভব এই চিকিৎসা। এদিকে এসএসকেএমের কোনোরকম যোগাযোগ সূত্র বা মুকুন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার খরচ জোগানোর সামর্থ্য কোনোটিও ছিল না ওই মধ্যবিত্ত পরিবারের। যার ফলে কার্যতই আকাশ ভেঙে পড়ে পূজা দেবী এবং তাঁর স্বামী জয়ন্ত দেবনাথের মাথায়।
এরপরই বিভিন্ন পরিচিত মাধ্যমে খবর পান অনির্বান। তারপরই কালবিলম্ব না করে একরত্তিকে বাঁচাতেই হবে এই প্রতিজ্ঞায় ফেসবুকে পোস্ট করেন তিনি। অনির্বাণ সক্রিয় বাম কর্মী হওয়ায় সরাসরি শাসকদলের সাহায্য পাওয়ার উপায় তাঁর ছিল না। কিন্তু তিনি জানতেন মদন মিত্রকে যোগাযোগ করা গেলে কিছু একটা উপায় করা সম্ভব। তাই একপ্রকার নিরুপায় হয়েই ফেসবুকে মদন মিত্রকে ‘মেনশন’ করে পোস্ট করেন তিনি। এই পোস্টটি ভাইরাল হয় প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই৷ এরপরই গতকাল রাতে দমদমের ওই হাসপাতালে যোগাযোগ করা হয় ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের টিমের তরফে। শিশুটির চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব তিনি নেবেন বলেই জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ।
গতকাল প্রায় মধ্যরাতে শিশুটিকে নিয়ে মুকুন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালে পৌঁছায় তার পরিবার।আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন সে। এই খবর পাওয়ার পর খুদের একটি ছবি পোস্ট করে অনির্বাণ লিখেছেন ‘জন্মের সাথে সাথে সব বিবাদ ভুলিয়ে যে সবাইকে এক করে ফেলতে পারে সে এত সহজে হারবে না। জলদি সুস্থ হয়ে ফিরে এসো চ্যাম্প। পৃথিবীটাকে বদলাতে হবে।অনেক কাজ তোমার’।
আপাতত শিশুটির সুস্থতা কামনায় প্রহর গুনছেন আপামর রাজ্যবাসী। সুস্থ হয়ে ফিরুক সে। সত্যিই ভুলিয়ে দিক পৃথিবীর সব বিবাদ।