বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আমেরিকা (United States) ডালাসে (Dallas) ৪ জনকে বন্দি বানানো হয়েছিল। পাকিস্তানের জেহাদি বিজ্ঞানী আফিয়া সিদ্দিকীর (Aafia Siddiqui) মুক্তির দাবিতে একটি ইহুদি উপাসনালয়ে ৪ নিরীহ মানুষকে বন্দি বানানো হয়েছিল। মার্কিন কর্মকর্তারা জানয়েছেন যে, আফিয়া সিদ্দিকী আফগানিস্তানে আটক থাকাকালীন মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের হত্যার চেষ্টা করেছিল। আফিয়া বর্তমানে টেক্সাসের এফএমসি কারসওয়েল জেলে বন্দি রয়েছে। তাকে ৮৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে গোটা বিষয়টির ওপর নজর রাখছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। টেক্সাসের একটি ইহুদি ধর্মীয় স্থানে নিরীহ আমেরিকান নাগরিকদের বন্দি করা হয়েছিল। তবে, মার্কিন নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় ৪ জনকেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট জানিয়েছেন, তারা সবাই এখন নিরাপদ। জানা গিয়েছে যে, পুলিশের গুলিতে দুষ্কৃতীরা নিকেশ হয়েছে।
অন্যদিকে এই বিষয়ে আফিয়া সিদ্দিকীর ভাইয়ের পক্ষে উপস্থিত অ্যাটর্নি দাবি করেন, চারজনকে বন্দি ব্যক্তিদের সঙ্গে আফিয়া সিদ্দিকীর ভাই জড়িত নেই। অ্যাটর্নি জানান, আফিয়ার ভাইকে এর মধ্যে ইচ্ছে করে টেনে আনা হচ্ছে। অ্যাটর্নি মার্কিন মিডিয়াকে আরও বলেছেন যে, তার মক্কেল ক্রমাগত মার্কিন সংস্থাগুলিকে ফোন করে তাদের আশ্বস্ত করছেন যে তিনি এই বন্দি করার ঘটনায় জড়িত নন। তিনি বলেছেন যে, তিনি তার বোনকে শান্তিপূর্ণভাবে মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকেও তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তরফ থেকে এই পুরো ঘটনার কথা জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে সময়ে সময়ে ওনাকে তথ্য দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি ন্যাশনাল সিকিউরিটি টিমের সিনিয়র সদস্যরাও মার্কিন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
প্রথমে কলভিলের পুলিশ জানিয়েছিল যে, বন্দি বানানো দুষ্কৃতীরা একজন ব্যক্তিকে ছেড়ে দিয়েছে। তার শরীরে কোনও আঘাত নেই। তিনি নিরাপদ আছেন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন হতাহতের খবর নেই। পাশাপাশি, এফবিআই কর্মকর্তারা দুষ্কৃতীদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ভাবে এই পরিস্থিতির অবসানের জন্য যোগাযোগ স্থাপন করেছিলেন।
পাকিস্তানি নাগরিক ডক্টর আফিয়া সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে আল কায়েদার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আফগানিস্তানে একজন মার্কিন গোয়েন্দা এজেন্ট, একজন সৈনিক এবং যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হুসেইন হাক্কানিকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও ২০১১ সালের মেমোগেট কেলেঙ্কারির মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবেও পরিচিত আফিয়া।
২০১৮ সালে আফিয়া সেই সময় লাইমলাইটে এসেছিল, যখন একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল যে পাকিস্তান এবং আমেরিকার মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে যেখানে আফিয়া সিদ্দিকীকে ডাঃ শাকিল আহমেদের পরিবর্তে ফিরিয়ে দেওয়য় সহমত হয়েছে দুপক্ষ। বলে দিই, ডাঃ শাকিল আহমেদ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাকে আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করতে সহায়তা করেছিলেন।