বাংলাহান্ট ডেস্ক: ট্রোলের সঙ্গে দীর্ঘদিনের ওঠাবসা সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের (sudipa chatterjee)। ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে হোক বা তাঁর নতুন ব্যবসা, নেটিজেনদের কটাক্ষের মুখে বারে বারে পড়তে হয় তাঁকে। তবে সুদীপা মুখ বুজে থাকেন না। ট্রোলারদের যোগ্য জবাব দেন। আর তাতেই মাঝে মাঝে বিতর্কের মাত্রা দ্বিগুণ হয়ে যায়। এবারেও ঘটেছে তেমনটাই।
করোনা মুক্ত হওয়ার পর সম্প্রতি ‘রান্নাঘর’ এর শুটিং শুরু করার খবর জানিয়েছিলেন সুদীপা। সদ্য অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরার সঙ্গে শুটিংয়ের একটি ছবি শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘অন্য মায়ের পেটের ভাই’। ছবিটি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গেই বিচিত্র কমেন্ট করে বসেন এক ব্যক্তি। তিনি প্রশ্ন করেন, অঙ্কুশ কি তাঁর নতুন স্বামী?
তাঁকে কম কথায় সুদীপা উত্তর দিয়েছেন, ‘কী হাস্যকর! ঈশ্বর আপনাকে আশীর্বাদ করুন।’ কিন্তু মূল কাণ্ডটা হয় এরপর। রাখি ঘোষ নামে এক মহিলা সঞ্চালিকার কাছে প্রশ্ন রাখেন, তাঁর পরনের শাড়িটা কি ঢাকাই আর গয়নাটা কি রূপোর? ব্যস, এতেই ক্ষেপে যান সুদীপা।
সঙ্গে সঙ্গে তীব্র কটাক্ষ করে ওই মহিলাকে তিনি উত্তর দেন, ‘আমি জানি না, বাংলা ভাষাটা আজকাল এত কঠিন হয়ে গিয়েছে কারো কারো কাছে, যে সহজ সরল বাংলা বা সামান্য ইংরাজি ভাষা বোঝেন না। বেশ খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যে যাচ্ছি, সে তো বোঝাই যাচ্ছে। কোভিড হয়তো জয় করে নেব। কিন্তু অশিক্ষা আর কুরুচি জয় করব কীভাবে? আমি লিখেছিলাম যে আমি নকল গয়না পরি না, সেটা সোনার হোক কিংবা রুপোর। হে ভগবান! মানুষজন এত অশিক্ষিত হয়ে উঠেছে! একটু শান্তিতে বাঁচুন!’
সুদীপার এই উত্তর অনেককেই ক্ষুব্ধ করেছে। একজন লিখেছেন, ‘আনফলো করলাম আপনাকে সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। আপনার কথাবার্তাতেই আপনার শিক্ষার পরিচয় দিচ্ছে। একটা রান্নাঘর করে এত দেমাক হলে ভারতের টপ সেলিব্রিটি হলে তো কাউকে মানুষ বলেই ভাবতেন না।’
আরেকজন লিখেছেন, ‘এমনও তো হতে পারে, যে জানতে চেয়েছে সে হয়ত মধ্যবিত্ত পরিবারের..ভেবেছে সিলভার এর হলে এমন একটি নেকলেস বানাতে পারবে… আপনার মত তার সোনা বা হীরের নেকলেস বানানোর সাধ্য নেই। উনি আপনাকে একটা সিম্পল ও নির্দোষ প্রশ্ন করেছিলেন আর আপনি উনাকে দোষী বানিয়ে দিলেন!!’
যদিও উপর্যুপরি সমালোচনার মুখে পড়ে ওই মহিলার কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছেন সুদীপা। তবে তিনি দাবি করেছেন, ভুল করে ভুল মানুষকে উত্তর দিয়ে ফেলেছেন তিনি। যে ব্যক্তি তাঁকে ও অঙ্কুশকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন তাঁকে উত্তর দিতে গিয়ে গণ্ডগোল হয়ে গিয়েছে তাঁর। তবে সুদীপা ক্ষমা চাইলেও বিষয়টা নিয়ে যে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে তা বলা বাহুল্য।