বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নাকি ফিরতে চাইছেন তৃণমূলে। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের এহেন দাবিকে ঘিরেই এবার রীতিমতো তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। একই সঙ্গে ফিরতে চাইলেও দলে শুভেন্দুর জায়গা হবে কি না তাও স্পষ্ট করেছেন কুণাল ঘোষ।
মঙ্গলবার সল্টলেকে বিধাননগর পুরভোটের প্রচারে যান কুণাল ঘোষ। সেখানেই সাংবাদিক সম্মেলনে এহেন চাঞ্চল্যকর দাবি করতে শোনা যায় তাঁকে। তিনি বলেন, ‘তৃণমূলে ফিরতে চাইছে শুভেন্দু। ওর সঙ্গে আরও যে দু একজন গেছিল তারাও ফিরতে চাইছে। কিন্তু ফিরতে চাইলেও ফেরানো হবে না ওদের কাউকেই।’
সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরেছেন রাজারহাট নিউটাউনের প্রাক্তন বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। বিধাননগরে পুরভোটের প্রচারে সেই সব্যসাচীকেই একহাত নিতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি প্রসঙ্গে নাম না করে সব্যসাচীকেই বেঁধেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ‘সেই প্রার্থী হিসেব কষে রেখেছিলেন। বিজেপি সরকারে আসছে মনে করে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। বিজেপি এখন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। আমরা ৩ থেকে ৭৭ হয়েছি। কিন্তু বিজেপি ১৪৮ টি আসন পায়নি। রাজনীতি যাদের পেশা, ব্যবসা, শাসকদের সঙ্গে না থাকলে, কাটমানি না পেলে, তারা বিরোধী দলের রাজনীতি করতে পারে না। তারা মধু খেতে তোলামূলে ফিরে গেছে।’
শুভেন্দুর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই এদিন তোপ দাগেন কুণাল। তিনি বলেন, ‘ যাদের কোনো জনভিত্তি নেই,মানুষের সমর্থন নেই, অবসাদ থেকেই এগুলো করছে তারা। সব্যসাচীকে ঈর্ষা করছে। আর শুভেন্দু তো ফিরতেই চাইছে। তাই অবসাদ থেকেই এ সমস্ত বলছে। এই সবে গুরুত্ব দেওয়ার কোনো দরকার নেই।’
যদিও এই ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়াই এখনও অবধি পাওয়া যায়নি শুভেন্দু অধিকারীর তরফে। তাও কুণাল ঘোষের এহেন দাবিকে ঘিরে যে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি, তা বলাই বাহুল্য।