বাংলাহান্ট ডেস্ক : আবারও বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে শিরোনামে মদন মিত্র। এবার তৃণমূল নেতাদের রীতিমতো ‘মোটা’ বলে বিঁধলেন তিনি। তাঁর মতে অভিষেক একমাত্র মিষ্টি বাচ্চা বাকি সবাই মোটা। এমনকি শুভেন্দু অধিকারীর দলে ফেরার জল্পনাও এদিন উস্কে দিতে দেখা গেল তাঁকে।
এদিন দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুর্গাপুরে যান মদন মিত্র। আর সেখানেই এহেন বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা যায় তাঁকে। সেখানে তাঁকে মমতার পর তৃণমূলের পরবর্তী মুখ কে তা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি নিজস্ব ঢঙেই বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আর কারও মুখই নেই। আমার তো অভিষেকের মুখটা বেশ লাগে। কেমন মিষ্টি ফুটফুটে বাচ্চা লাগে ওকে। তবে আর কারও ভালো লাগে কি না তা আমি কীকরে বলব। এই দলে মমতাদি আর অভিষেক ছাড়া কারও মুখই আমার ভালো লাগে না। কেউ মোটা, কেউ সোটা, কেউ গোটা। হয়ত দেখা গেল অভিষেকের জায়গায় এমন কেউ বক্তৃতা দিতে দেখা গেল যিনি কুচকুচে কালো। রাতে বক্তৃতার মধ্যে হঠাৎ লোডশেডিং হয়ে গেল। তখন নেতাকে দেখতে না পেয়ে জনগন চলে গেল’
এহেন বক্তব্যের পরই জল্পনা তৈরি হয় তবে কি পার্থ-সৌগতদেরই বিঁধলেন মদন? সেই প্রেক্ষিতে তৃণমূলের কালারফুল বয় আরও জানান, ‘ আমি তো কারও নাম বলিনি। আমি অভিষেকের কথা বলেছি। ওকে দেখছে বেশ সুন্দর ফুটফুটে বাচ্চার মতন। অভিষেককে দেখলে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির কথা মনে পড়ে যায়। ‘ একই সঙ্গে তিনি উস্কানি দেন শুভেন্দু অধিকারীর তৃণমূলে ফেরার জল্পনার আগুনেও। তিনি বলেন ‘ শুভেন্দু অধিকারী, অর্জুন সিংকে নিয়েও কিছু বলব না আমি। কারণ এরপর এদেরকেই দেখা যাবে তৃণমূল ভবনে। তখন আমি বেমতলব কেস খাব।’
তাঁর এহেন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মদন মিত্রকে বিঁধেছেন বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই। তাঁর দাবি সুস্থ মস্তিষ্কে ছিলেন না মদন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘যে কথাগুলো মদন মিত্র বলেছেন সব কটা সুস্থ মস্তিষ্কে বলেছেন তো?’ মদন মিত্রের নিজের ভাষার প্রতি নিয়ন্ত্রণ রাখা উচিত বলেই জানিয়েছেন কুণাল ঘোষও।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবিকে ঘিরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। সল্টলেকের পুরভোটের প্রচার সভা থেকে কুণাল দাবি করেছিলেন সদলবলে তৃনমূলে ফিরতে চান শুভেন্দু অধিকারী। এবার মদন মিত্র আরও দৃঢ় করলেন সেই জল্পনা। কুণালের দাবির প্রতিক্রিয়ায় খোলসা করেও কিছু বলতে দেখা যায়নি শুভেন্দুকে। তবে কি সত্যিই তৃণমূলে ফিরছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা? উঠছে প্রশ্ন।