বাংলাহান্ট ডেস্ক: শেষ হল একটা যুগ। চলে গেলেন ভারতের ‘গোল্ডেন ম্যান’ বাপ্পি লাহিড়ী (Bappi Lahiri)। মঙ্গলবার মধ্যরাতের আগে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন বর্ষীয়ান গায়ক সুরকার। আর বৃহস্পতিবার সকালে পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে গেলেন সকলের প্রিয় বাপ্পি দা। রেখে গেলেন অজস্র সুপার ডুপার সব সৃষ্টি।
বুধবারই শেষকৃত্য সম্পন্ন হত বাপ্পি লাহিড়ীর। কিন্তু তাঁর ছেলে বাপ্পা ছিলেন আমেরিকায়। বাবার মৃত্যুর দুঃসংবাদটা পেয়েই তড়িঘড়ি ফিরতি ফ্লাইট ধরেন তিনি। বুধবার রাতে মুম্বই ফেরেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় প্রয়াত বাপ্পি দার। মুম্বইয়ের জুহুতে তাঁর বাড়ি থেকে মরদেহ বের করে পবন হংস শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়।
শেষযাত্রায় বাবাকে কাঁধ দেন ছেলে বাপ্পা ও রানি মুখার্জির ভাই রাজা। আক্ষরিক অর্থেই ‘ডিস্কো কিং’ এর মতোই বিদায় নিলেন বাপ্পি লাহিড়ী। কালো সানগ্লাস ও গলায় সোনার চেন ছাড়া কখনোই তাঁকে দেখা যায়নি। গায়কের প্রিয় সেই দুটো জিনিস শেষযাত্রাতেও তাঁর সঙ্গে ছিল। চোখে কালো চশমা এঁটে, গলায় ফুলের মালার সঙ্গে মোটা সোনার হার পরে যেন ঘুমিয়ে রয়েছেন গায়ক।
বিধ্বস্ত অবস্থায় ক্যামেরার সামনে আসেন ছেলে বাপ্পা লাহিড়ী। হাত জোড় করে উপস্থিত সকলকে প্রণাম জানান তিনি। বাপ্পি লাহিড়ীর মেয়ে অঝোরে কেঁদেই চলেছেন। ভিড় সামলাতে পুলিসও মোতায়েন করা হয়েছিল সুরকার গায়কের শেষযাত্রায়। বলিউড তারকাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যা বালান, রানি কাজলদের পরিবারের কয়েকজন সদস্য ছাড়াও বর্ষীয়ান অভিনেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, অলকা ইয়াগনিক, ইলা অরুণরা।
বর্ষীয়ান গায়ক সুরকারের জামাই গোবিন্দ বনসল শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, গত তিন সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বাপ্পি লাহিড়ী। সদ্য সোমবার দিন ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা নটা নাগাদ রাতের খাবার খেয়েছিলেন বাপ্পি দা। কিন্তু তার আধঘন্টার মধ্যে আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি।
পালস অত্যন্ত কমে গিয়েছিল গায়কের। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ফের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু চিকিৎপকরা রাত পৌনে বারোটা নাগাদ ঘোষনা করেন, বাপ্পি লাহিড়ী মৃত। জানা যাচ্ছে, একাধিক শারীরিক সমস্যা ছিল বাপ্পি লাহিড়ীর। চিকিৎসক জানান, ‘অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া’র জেরে মৃত্যু হয়েছে সুরকারের।