ছেড়েছেন চাকরি! গোবর বিক্রির ব্যবসা করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন ২৬ বছরের যুবক

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমরা সবাই জানি যে, ভারত একটি কৃষিপ্রধান দেশ। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ভিন্ন ভিন্ন ধরণের চাষ লক্ষ করা যায়। পাশাপাশি, লক্ষ লক্ষ মানুষ কৃষির মাধ্যমেই জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। তবে, কৃষিকার্যের পাশাপাশি অনেকেই পশুপালনের মাধ্যমেও জীবিকা নির্বাহ করেন।

দেশের প্রায় প্রতিটি গ্রামেই ঘরে ঘরে গরু-মহিষ পালন করতে দেখা যায়। গরুর দুধ এবং গোবরকে সার হিসেবে বিক্রি করে অনেকেই অর্থ উপার্জন করেন। তবে, বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা এমন একজনের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যিনি শুধু দুধ বা গোবর বিক্রি করেই অর্থ উপার্জন করেন না। পাশাপাশি, গরুর মূত্রও বিক্রি করেন।

বর্তমানে ওই ব্যক্তির উপার্জন যে কোনো চাকরিজীবীর থেকে থেকেও বহুগুণ বেশি। জয়গুরু আচার হিন্দর নামের এই যুবক তাঁর ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে দুগ্ধ ব্যবসা শুরু করেন। এই ব্যবসা করে বর্তমানে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন তিনি। এর আগে কোম্পানিতে চাকরি করলেও পরে চাকরিতে বিরক্ত হয়ে নিজের ব্যবসা করার কথা ভাবেন জয়গুরু।

দক্ষিণ কন্নড়ের পুত্তুর থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পরে, তিনি একটি কোম্পানিতে চাকরি পান। তবে, প্রথম থেকেই চাকরিতে অনীহা ছিল তাঁর। সেকারনেই পরে তিনি দুধের খামার খুলে নিজের কাজ শুরু করেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে থেকেই তিনি কৃষিকাজে প্রবল আগ্রহী ছিলেন। পাশাপাশি, তাঁর বেশিরভাগ সময় কাটত বাড়িতে থাকা ১০ টি গরু নিয়ে। ২০১৯ সালে, জয়গুরু তাঁর চাকরি ছেড়ে বাবার সাথে ব্যবসায় যোগ দিয়েছিলেন।

তারপর থেকেই আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। দুধের খামারের পাশাপাশি আখরোটের চাষও শুরু করেন জয়গুরু। এদিকে, ধীরে ধীরে গোবরের মাধ্যমেও উপার্জন শুরু করেন তিনি। গুগল থেকে ভিডিওর মাধ্যমে গোবর শুকোনোর যন্ত্রের কথা প্রথম জানতে পারেন তিনি। তারপরেই দেরি না করে পাতিয়ালা থেকে এই মেশিন এনে ব্যবহার শুরু করেন জয়গুরু।

jr1 1634567533

তিনি প্রতি মাসে ১০০ ব্যাগ শুকনো গোবর বিক্রি করেন, যা তার আশেপাশের কৃষকরা কিনে নিয়ে যেতেন। এছাড়াও, তাঁর একটি ট্যাংকার আছে যা দিয়ে তিনি এক ধরনের গোবরের দ্রবণ তৈরি করে বিক্রি করেন। জয়গুরু গোবর এবং গোমূত্র ব্যবহার করে এই দ্রবণ তৈরি করেছেন। যা বিক্রি হয় লিটার প্রতি ৮ থেকে ১১ টাকা দরে। এখন ১০ একর জুড়ে বিস্তৃত খামারে বর্তমানে ১৩০ টিরও বেশি গরু রয়েছে।

এদিকে, এই ব্যবসা থেকে জয়গুরু খুব সহজেই প্রতি মাসে ১০ লক্ষ টাকা আয় করছেন। শুধু তাই নয়, আগামী সময়ে তিনি তাঁর ব্যবসা আরও বাড়ানোর কথাও ভেবেছেন। পাশাপাশি, বর্তমানে দুধের পণ্যও বিক্রি শুরু করছেন তিনি।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর