‘বিক্ষুব্ধদের ‘ গোপন বৈঠকে লকেট, বড়সড় ভাঙন বিজেপির অন্দরে?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : উল্টো সুরে গাইছেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়? দলের ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতাদের সঙ্গে তাঁর গোপন বৈঠকে কার্যতই শোরগোল রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। তাঁর সাম্প্রতিক একাধিক দাবিতে জল্পনা সৃষ্টি হলেও আজকের ঘটনায় বেশ কয়েকগুন বেড়ে গেল তা।

মাস খানেক আগে রাজ্য বিজেপির অন্দরে বিস্তর জলঘোলা হয় দলের অন্তর্কলহকে কেন্দ্র করে। বিক্ষুব্ধ ধাব্বা সমেত সাময়িক বরখাস্ত করা হয় জয়প্রকাশ মজুমদার, সায়ন্তন বসু প্রমূখ নেতাদের। এরপর বিজেপির বিরুদ্ধে রীতিমতো বিস্ফোরক হয়ে মুখও খুলতে দেখা গেছিল জয়প্রকাশ মজুমদারকে। শুভেন্দুকে একহাতও নেন তিনি। এবার এই বিক্ষুব্ধদের দলেই কি নাম লেখালেন লকেট চট্টোপাধ্যায়ও?

কেন এই বৈঠক তা নিয়ে অবশ্য মুখ খোলেননি কেউই। তবে বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর ক্রমশই স্পষ্ট হচ্ছে রাজ্য বিজেপির অন্দরের ফাটল। দলের মধ্যেই তৈরি হয়েছে বেশ কয়েকটি গোষ্ঠী। নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন অন্য নেতারাই। পুরভোটের ফলাফলের পরও দলের বিরুদ্ধেই মুখ খুলতে দেখা যায় লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। বারবার ‘আত্মসমীক্ষা’, ‘ব্যর্থতার কারণ’ ইত্যাদি শব্দগুলি উঠে আসতে থাকে তাঁর বক্তব্যে। তখন তাঁর পালটা মাঠে নামেন দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদারদের মতন রাজ্য বিজেপির তাবড় নেতারাও। এরপরই লকেটকে দেখা গেল ‘বিক্ষুদ্ধ’ দলে। ফলে এহেন বৈঠককে ঘিরে তুমুল জল্পনা এবং শোরগোল যে হবেই তা বলাই বাহুল্য। এই ব্যাপারটি নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘একমাত্র বিজেপিই এমন দল যেখানে শৃঙ্খলা মেনে চলতে হয়। দলের অন্দরের কথা বাইরে বলে লাভ নেই। দলের মধ্যেই বলতে হবে।’

প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যদখল করতে না পারলেও প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে এসেছিল বিজেপি। মুছে গিয়েছিল সিপিএম এবং কংগ্রেস। এরপর স্বভাবতই পুরভোটে লড়াই হওয়ার কথা ছিল তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যেই। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের মাত্র ১০ মাসের মাথাতেই পুরভোটে রাজ্য থেকে ভ্যানিশ বিজেপি। ১০৮ টি পুরসভার একটিও দখল করতে বিফল গেরুয়া শিবির। এহেন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বিজেপি নেত্রীর গোপন বৈঠক যে চূড়ান্ত ইঙ্গিতপূর্ণই হয়ে উঠছে তা বলাই বাহুল্য।


Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর