বাংলাহান্ট ডেস্ক: সপ্তাহ ঘুরে গিয়েছে রামপুরহাট গণহত্যার (Rampurhat Massacre) পর। একাধিক জনকে অভিযুক্ত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রথম দিকে স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন বাংলার বুদ্ধিজীবীরা। দলে ছিলেন সাংসদ অভিনেতা দেবও (Dev)। সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নে জানিয়েছিলেন, এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবেন না তিনি।
বৃহস্পতিবার ঘাটালে এসে প্রথমবার বগটুই নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ। তবে যা বললেন তাও খুব মেপেজুপে। তাঁর বক্তব্য, রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে তিনি কিছু বলতে পারবেন না। কালণ তিনি দলের মুখপাত্র নন। শুধু এটুকু বলতে পারেন যেটা হয়েছে সেটা খারাপ। এমন ঘটনা যেন ভবিষ্যতে না ঘটে। তাহলে রাজ্যের নাম খারাপ হবে।
দেব বলেন, “যেকোনো রাজ্যের জন্য এটা সত্যিই খুব খারাপ একটা ঘটনা। আমি ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করব, সবার কাছে বলব যে ক্ষমতার নেশায় এমন না হয়ে যায় যে মানুষ মানুষকে চিনতে পারবে না।” বগটুইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে গিয়ে নির্দেশ দিয়েছেন, রাজ্যে যেখানে যত অস্ত্র, বোমা লুকিয়ে আছে সব উদ্ধার করতে হবে।
এ বিষয়ে দেবও বলেন, সব অস্ত্র উদ্ধার করা উচিত যাতে মানুষ আর না মরে। পুলিস প্রশাসনেরও শক্ত হাতে মোকাবিলা করা উচিত। এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেটা দেখা সরকারের কর্তব্য। অবশ্য রামপুরহাট কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত ও দলীয় হেভিওয়েট নেতার নাম উঠে আসা নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি দেব।
তাঁর কথায়, “আমি তেমন রাজনীতি বুঝি না। এর মধ্যে আমার না ঢোকাটাই উচিত। আমি দলেরও মুখপাত্র নই আর সিবিআইয়েরও মুখপাত্র নই। আমার মনে হয় যে যার কাজ করছে করুক।”
একগুচ্ছ কর্মসূচী নিয়ে ঘাটালে গিয়েছিলেন দেব। এদিন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে কেন্দ্রের উদ্দেশে তোপ দাগেন তিনি। হরি সিংপুর পার্ক পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন তিনি। মহকুমা শাসকের দফতরে গিয়ে জেলা শাসকের সঙ্গে বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের বৈঠকেও যোগ দেন তিনি।
সেখানেই কেন্দ্রের উদ্দেশে কটাক্ষ করে দেব বলেন, “ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে অনেকবার চিঠি দিয়েছি আমি। আমার মনে হয় দিল্লির কানে আমাদের কথা পৌঁছাচ্ছে না। তাই আমাদের নিজেদেরই নিজেদের জন্য লড়াই করতে হবে। আমরা আপনাদের পাশে আছি। যতদিন বাঁচব, ঘাটালের মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করব। এর জন্য আজকের বৈঠকটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।”