বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বর্তমানে একাধিক ইস্যু নিয়ে জেরবার রাজ্যের শাসক দল। বাংলার বুকে নাবালিকা ধর্ষণ থেকে শুরু করে খুনের একাধিক মামলার দরুণ আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলে চলেছে বিজেপি। রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবিও করেছে তারা। আর এদিন এক ধাপ এগিয়ে এমন এক দাবি করে বসলেন শুভেন্দু অধিকারী, যাতে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা কেন্দ্রের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যাপারে এদিন মত প্রকাশ করেন বিরোধী দলনেতা।
বগটুই কাণ্ড থেকে হাঁসখালি গণধর্ষণ কাণ্ডের প্রতিবাদে এদিন বীরভূমের সিউড়িতে আইন অমান্য কর্মসূচি পালন করে বিজেপি। মিছিলে এদিন কম নাটক হয়নি! প্রথমে পুলিশি বাঁধা উপেক্ষা করে ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করার ফলে পায়ে চোট পান শুভেন্দু। এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তবে এসবের মাঝে এদিন তিনি বলেন, “ভোটাভুটির নিরিখে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার ফলে মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতাই থাকুন। 355 ধারা দিয়ে দেওয়া হোক। আইন শৃঙ্খলার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ে নিক।
বিরোধী দলনেতার এই মন্তব্য নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানান, “এমনি ওর মাথায় গণ্ডগোল। গরমে হাঁটতে হাঁটতে মাথার তালু গরম হয়ে গেলে এসব কথা বলে। পাগলামি আরো বেড়ে যাচ্ছে। বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলোয় যখন এরকম ঘটনা ঘটে তখন কোথায় থাকে? যোগীরাজ্যে উন্নাও থেকে হাথরসে এসব ঘটনা ঘটলে কোথায় থাকে? ত্রিপুরায় সন্ত্রাসের সময় কোথায় থাকে? বাংলার মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে, তাও এরা অযথা কুৎসা চালিয়ে যাচ্ছে।”
বর্তমানে রাজ্যের ডামাডোল পরিস্থিতির মধ্যে সিপিএম, তৃণমূলের সমালোচনা করলেও শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যকে সমর্থন করেনি সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “শুভেন্দুর কথায় কিছু আসে যায় কিনা জানিনা। উনি মমতার ভাষাতেই কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রীকে রক্ষা করতে দিল্লি যে প্রচেষ্টা করে চলেছে, তা সকলেই জানে। তবে এই ধরনের মন্তব্যকে আমি সমর্থন করি না। বাংলা বিজেপির ইচ্ছায় দিল্লির মত হবে নাকি।” এর পাশাপাশি তিনি এ দিন তৃণমূলকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি। তিনি বলেন, “বাংলায় তৃণমূল যেভাবে চলছে, সেভাবেই চলতে পারে না।” এছাড়াও কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য নিয়ে এদিন বলেন, “কোথায় কে কি বলে জানা নেই। যারা এসব বলেন তারাই একমাত্র ব্যাখ্যা দিতে পারেন।”