বাংলাহান্ট ডেস্ক : বালাই নেই ডেথ সার্টিফিকেটের৷ নেই কোনও নথিও। অথচ রমরমিয়ে চলছে মৃতদেহ সৎকার। এবার এহেন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং ১ ব্লকের নিকারীঘাটা স্বর্গদুয়ার শ্মশান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। অভিযোগ শ্মশানে মৃতদের সৎকারের সময় দেখা হয় না ডেথ সার্টিফিকেট। শুধু তাইই নয়, কবে, কখন, কার মৃতদেহ দাহ করা হচ্ছে লিখে অবধি রাখা হয় না সেটুকুও।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ক্যানিং এর এই শ্মশানটি বহু বছরের পুরোনো। সাম্প্রতিক কালে সৎকারের সুবিধার জন্য একটি ইলেকট্রিক চুল্লি চালু হয়েছে ক্যানিং এলাকায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও বহু মানুষ মৃতদেহ দাহ করার কাজে ওই নিকারীঘাটা শ্মশানটিকেই ব্যবহার করেন। এতবছর ধরে সেটি চালু থাকলেও কোনও রকম নিয়মেরই তোয়াক্কা করা হয় না সেখানে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই শ্মশানে যে সমস্ত মৃতদেহ দাহ করা হয় তার প্রায় সবই অপঘাতে মৃত্যু। ফলে প্রশাসনের নজরদারি না থাকা এবং নিয়ম না মানা যে আরও বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে তেমনটাই অভিযোগ বাসিন্দাদের।
সম্প্রতিই নদিয়ার হাঁসখালির ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে রাজ্যজুড়ে সকলেই। সেখানে গণধর্ষণের পর মাত্রাতিরিক্ত রক্তপাতে মৃত্যু হয় ১৪ বছরের এক নাবালিকার। এরপরই প্রমাণ লোপাটের জন্য নাবালিকার মৃতদেহ রাতারাতি পুড়িয়ে ফেলে মূল অভিযুক্তই। কোনও রকম ডেথ সার্টিফিকেট কিংবা নথিপত্রের পরোয়া করা হয়নি সেখানে। এমনকি প্রমাণ লোপাট করতে কেরোসিন ঢেলে কিশোরীর দেহ পড়ানোর পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলা হয় গোটা শ্মশান।
হাঁসখালির এই ঘটনার পর যেন কিছুতেই উদ্বেগ এবং দুশ্চিন্তা পিছু ছাড়ছে না ক্যানিংবাসীর৷ কাউকে খুন করে বেওয়ারিশ লাশ যে ওই শ্মশানে পুড়িয়ে ফেলা কোনও ব্যাপারই নয়, তা বলাই বাহুল্য। ফলে আবারও হাঁসখালির মতন ঘটনার সাক্ষী থাকতে হবে না তো ক্যানিং কে? এই প্রশ্নেই রাতের ঘুম উড়েছে এলাকাবাসীর। আপাতত ওই শ্মশানে নিয়মকানুন চালুর দাবিতেই সরব তাঁরা।