মারা গিয়েও দু’বার বেঁচে ফিরেছেন এই যুবক! হার্ট ট্রান্সপ্লান্টের আগে ‘প্রপোজ’ করলেন গার্লফ্রেন্ডকে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: হৃৎপিণ্ডে অপারেশনের সময়ে প্রযুক্তিগতভাবে দু’বার মারা গিয়েছিলেন তিনি। এমতাবস্থায়, চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেন যে, তাঁর হার্ট প্রতিস্থাপন করবেন তাঁরা। এমতাবস্থায়, অপারেশনের আগেই প্রেমিকাকে “প্রপোজ” করলেন পেশায় ফুটবল খেলোয়াড় এক যুবক।

অপারেশনের আগেই কেন করলেন “প্রপোজ”?
এদিকে, হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপনের আগে তিনি তাঁর প্রেমিকাকে “প্রপোজ” করেন। কারণ, প্রতিস্থাপিত হৃদয়ে তাঁর প্রেমিকার জন্য সমপরিমাণ ভালোবাসা থাকবে কিনা এই নিয়ে আশঙ্কায় ছিলেন তিনি। আর এই কারণেই তিনি আগেভাগেই এমন সিদ্ধান্ত নেন।

১৭ মিনিটের জন্য ঘটে “মৃত্যু”:
দ্য মিরর-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ওই যুবকের নাম ব্রুকলিন পিকম্যান। তাঁর বয়স এখন ২০ বছর। এদিকে, তিনি যখন হৃদরোগে আক্রান্ত হন, তখন তিনি ১৭ মিনিটের জন্য প্রযুক্তিগতভাবে মারা যান এবং পরে অপারেশনের সময় কোমায় চলে যান।

এদিকে, হার্ট অ্যাটাকের পর চিকিৎসকেরা তাঁকে পরীক্ষা করে জানিয়েছিলেন যে, ব্রুকলিনের অপারেশন করতে হবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হৃৎপিন্ডও প্রতিস্থাপন করতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই, এই ঘটনায় তিনি অত্যন্ত ভীত হয়ে পড়েন।

কঠিন সময়ে পাশে পেয়েছেন প্রেমিকাকে:
জানা গিয়েছে যে, ব্রুকলিন পিকম্যানের বান্ধবীর নাম হল এলি স্পেন্সার। তাঁর বয়স ১৮ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ব্রুকলিন এবং তাঁর মায়ের সাথে তাঁদের বাড়িতে থাকেন। ব্রুকলিন এলিকে অত্যন্ত ভালোবাসেন। অসুস্থতার সময়, এলি ব্রুকলিনের পাশেই ছিলেন এবং অপারেশনের আগে ব্রুকলিন তাঁকে বিবাহের প্রস্তাব দেন।

প্রেমিকাকে কি বললেন তিনি?
এই প্রসঙ্গে ব্রুকলিন জানিয়েছেন যে, “যখন আমাকে বলা হয়েছিল যে, আমার হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করতে হবে, তখন আমি এলিকে বলেছিলাম যে, আমাদের বাগদান করে নেওয়াই ভালো। হয়ত, এমন ঘটতে পারে যে আমার নতুন হৃদয় তাঁকে আর ভালবাসে না বা এমনও হতে পারে যে নতুন হৃদয়ে বান্ধবী এলির প্রতি পুরোনোটির মতো ততটা ভালবাসা নেই।” তিনি আরও বলেন, অপারেশনের আগে তিনি খুবই অস্থির ছিলেন। তিনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এলিকে তাঁর স্ত্রী হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ব্রুকলিন প্রেস্ট্যাটিন টাউনের হয়ে ফুটবল খেলতেন। জন্ম থেকেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত। এমনকি, জন্মের একদিনের মধ্যে তাঁর দুটি অপারেশন হয়। মূলত, ব্রুকলিনের হৃৎপিণ্ডের দু’টি প্রধান রক্তনালী ভুলভাবে সংযোজিত ছিল। যার ফলে রক্ত ​​ভুল দিকে প্রবাহিত হচ্ছিল তাঁর।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর