বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে খবরের শিরোনামে এলেন সাক্ষী ধোনি। সাক্ষী হলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের সর্বকালের সফল এবং দুবারের বিশ্বকাপ জয়ী উইকেট রক্ষক-অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির স্ত্রী। প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কিছু বছর ধরে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের একাধিক শহরে বিদ্যুৎ সংযোগ জনিত সমস্যা দেখা দিয়েছে আর এবার সেই সমস্যা নিয়ে ফের একবার মুখ খুলতে দেখা গেল সাক্ষীকে।
এদিন তিনি তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট শেয়ার করেন। সম্প্রতি, ঝাড়খণ্ডের একাধিক শহরে ‘পাওয়ার কাট’ জনিত প্রসঙ্গে মুখ খুলে এদিন ধোনি-স্ত্রী টুইট করেন, “আমরা আমাদের সর্বত্র দিয়ে শক্তি বাঁচানোর চেষ্টায় রয়েছি। কিন্তু একজন করদাতা হিসেবে আমি সরকারকে প্রশ্ন করতে চাই যে এভাবে বহু বছর ধরে ঝাড়খণ্ড রাজ্যে ইলেকট্রিক জনিত সমস্যা হওয়ার কারণ কি?” স্বভাবতই, সাক্ষীর এই টুইটের পর শোরগোল পড়ে যায় নেট মাধ্যমে। একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার কারীরা তাঁকে সমর্থন করে সেই পোস্টটি রিটুইটও করে।
অবশ্য অতীতেও সাক্ষী এমনই একটি টুইট করে শিরোনামে আসেন। 2019 সালের 19 শে সেপ্টেম্বর তিনি টুইট করে বলেন, “বর্তমানে রাঁচির মানুষ প্রতিদিনই ‘পাওয়ার কাট’ জনিত সমস্যায় ভুগে চলেছেন। প্রতিদিনই 4 থেকে 7 ঘণ্টা পর্যন্ত আমাদের এখানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকছে। আজ 19 শে সেপ্টেম্বর আমরা প্রায় দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা ধরে অন্ধকারে ডুবে রয়েছি, যেখানে বর্তমানে কোন রকম উৎসব কিংবা খারাপ আবহাওয়া জনিত সমস্যাও নেই। আমি উচ্চ কর্তৃপক্ষের কাছে জিজ্ঞাসা করতে চাই যে, এর পেছনে কারণ কি?”
As a tax payer of Jharkhand just want to know why is there a power crisis in Jharkhand since so many years ? We are doing our part by consciously making sure we save energy !
— Sakshi Singh 🇮🇳❤️ (@SaakshiSRawat) April 25, 2022
স্বভাবতই, সাক্ষীর এই টুইটের পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। বর্তমানে বিদ্যুৎ জনিত সমস্যার কারণে প্রতিটি মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়েছে হেমন্ত সোরেন-এর সরকার। প্রসঙ্গত, 2016 সালে ঝাড়খণ্ড সরকার দাবি করে যে, আগামী তিন বছরের মধ্যে ঝাড়খণ্ডের প্রতিটি শহরে 24 ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে। কিন্তু বর্তমানে যেভাবে দিনের অর্ধেক ভাগই অন্ধকারে ডুবে থাকছে শহর, সেখানে সরকারের এই দাবি যে ক্রমশ মিথ্যে প্রমাণিত হচ্ছে, তা বলা বাহুল্য।