বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলা ছবির সুদিন ফিরিয়েছে ‘অপরাজিত’ (Aparajito)। লক্ষ্মী ফিরেছে ইন্ডাস্ট্রিতে। তথাকথিত বড়পর্দার অভিনেতা না হয়েও অসাধ্য সাধন করেছেন জিতু কামাল (Jeetu Kamal)। এই মুহূর্তে সবথেকে চর্চায় রয়েছেন তিনি। সত্যজিৎ রায়ের ছায়া ‘অপরাজিত রায়’ হয়ে উঠতে তাঁর যে নিরলস চেষ্টা, অধ্যবসায় তার ঝলক আগেই পেয়েছিল সকলে। ছবি মুক্তি পেতে সেই চেষ্টার প্রতিফলন দেখা গেল পর্দায়।
তবে এটা অনেকেই জানেন, জিতুর কিন্তু অপরাজিত হয়ে ওঠাই হত না। যদি না আবির চট্টোপাধ্যায় (Abir Chatterjee) ছবিটি ফিরিয়ে দিতেন। কিন্তু কেন আবির ফিরিয়ে দিয়েছিলেন অপরাজিত চরিত্রটি? সম্প্রতি সে কথাই প্রকাশ্যে আনলেন পরিচালক অনীক দত্ত।
টিভি নাইন বাংলার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, বাস্তবে সত্যজিতের মতো দেখতে কাউকে তিনি পাবেন এই ইন্ডাস্ট্রিতে এটা ভাবেনইনি। তাই প্রথম থেকে অপরাজিতর চরিত্রে আবিরকেই ভেবে রেখেছিলেন অনীক। হেই মতো কথাবার্তাও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষমেষ পিছিয়ে আসতে হয় অভিনেতাকে।
হঠাৎ করে লকডাউন উঠে যাওয়ায় তারিখ নিয়ে সমস্যা দেখা দেয় আবিরের। অন্যান্য ছবি যেগুলোর কাজ আটকে ছিল সেগুলো নতুন করে শুরু হয়। সমস্যায় পড়ে যান আবির। অনীক বলেন, একদিন মাথা নীচু করে তাঁর কাছে এসে সবটা খুলে বলেছিলেন অভিনেতা। তবে আবির যে ছবিটা ইচ্ছা করে ফেরাননি সেটাও বুঝেছিলেন অনীক।
এদিকে তাঁর টানা দু মাস শুটিং না করলে সমস্যা হত। কিন্তু আবিরের পক্ষে সেটা সম্ভব ছিল না। তাই শেষমেষ ছবিটি ছেড়ে দিতে বাধ্য হন আবির। জিতুর প্রসঙ্গে পরিচালক বলেন, তিনি আগে চিনতেন না অভিনেতাকে। সত্যজিতের চেহারার সঙ্গে মিল আছে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া কঠিন বলে চরিত্রের নামও বদলেছিলেন তিনি।
কিন্ত জিতুকে চেনার পর আর একসঙ্গে কাজ করার পর মুগ্ধ অনীক। পরিচালক বলেন, সে সময়ে হয়তো জিতুর উপরে কেউ ভর করেছিল। দ্রুত সবকিছু শিখে নিচ্ছিলেন তিনি। ছবি করতে গিয়ে অনেক বাধা এলেও সেগুলো কেটে গিয়েছে বলে জানান অনীক। নিজের সমস্তটা দিয়ে কাজটা করেছিলেন জিতু।